ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পল্লী নারীর দারিদ্র্য জয় দেখে অভিভূত ডেনমার্কের রানী

প্রকাশিত: ০৪:২২, ৬ এপ্রিল ২০১৭

পল্লী নারীর দারিদ্র্য জয় দেখে অভিভূত ডেনমার্কের রানী

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ অবহেলিত পল্লী জনপদের নারীদের দারিদ্র্য জয়ের গল্প শুনতে এবং তাদের ভাগ্যবদলের চিত্র স্বচক্ষে দেখতে বুধবার সকালে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল রাকুদিয়া গ্রাম পরিদর্শন করেছেন ডেনমার্কের রানী প্রিন্সেস ম্যারি। তিনি রাকুদিয়া গ্রামের পল্লী নারীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন খামার ও বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রায় আড়াই ঘণ্টা তিনি গ্রামের সফল নারী কৃষাণীদের সঙ্গে সময় কাটান। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ক্ষুদ্র কৃষি খামারের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া বিভিন্ন নারীর মুখে তাদের দারিদ্র্য জয়ের গল্প শোনেন ড্যানিশ রানী। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ডেনমার্কের রানী প্রিন্সেস ম্যারি বলেন, পল্লী নারীদের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। বাড়িতে ক্ষুদ্র কৃষি খামার গড়ে তুলে তারা নিজেদের স্বাবলম্বী করার মাধ্যমে পরিবারের অভাব দূর করেছেন। নিজেদের সাহস, আত্মবিশ্বাস ও শ্রম দিয়ে দারিদ্র্য জয় করেছেন যা আজ সত্যিই উন্নয়নের একটি মডেল। প্রিন্সেস ম্যারি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে কাজ করছে ডেনমার্ক। বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন বন্ধু হিসেবে সবসময় এদেশের পাশে থাকবে ডেনমার্ক। এ সময় রানী প্রিন্সেস ম্যারির সঙ্গে ডেনমার্কের উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মিসেস উল্লা টরনায়েস, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মাইকেল উইনথার, রানীর প্রধান প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা, ডেনমার্কের পররাষ্ট্র, উন্নয়ন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উর্ধতন কর্মকর্তাগণ, ড্যানিশ সাংবাদিকসহ ৩৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বুধবার বেলা পৌনে ১১টায় সেনাবাহিনীর দুটি বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে ডেনমার্কের রানীসহ তার ৩৭ জন সফরসঙ্গী বরিশাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় বিমানবন্দরে রানীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান, বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার রায় ও দেহেরগতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান। পরে কড়া পুলিশী প্রহরায় ডেনমার্কের রানী প্রিন্সেস ম্যারি ও তার সফরসঙ্গীদের প্রকল্প এলাকা দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
×