ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুক ॥ মুন্সীগঞ্জে শিক্ষিকাকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত: ০৪:২০, ৬ এপ্রিল ২০১৭

যৌতুক ॥ মুন্সীগঞ্জে শিক্ষিকাকে কুপিয়ে জখম

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সিরাজদিখানে স্বামীর নির্যাতনের শিকার স্কুলশিক্ষকা এখন হাসপাতালে ছটফট করছেন। উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামে পাষ- স্বামী মশিউর রহমান মোক্তারের (৪২) নির্যাতনে স্ত্রী নাটেশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সানজিদা আক্তার রুপার স্থান হয়েছে হাসপাতালের বিছানায়। নির্যাতনের সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে। সানজিদা আক্তার রুপা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা যায়, যৌতুকের জন্য নাটেশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সানজিদা আক্তার রুপাকে মঙ্গলবার রাতে কুপিয়ে জখম করেছে পাষ- স্বামী মশিউর রহমান মোক্তার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে রুপার বাবা সমন খান বাদী হয়ে বুধবার সিরাজদিখান থানায় অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর পাষ- স্বামী পালিয়ে গেছে। সানজিদা আক্তার রুপা নাটেশ্বর গ্রামের সমন খানের মেয়ে। পাষ- স্বামী মশিউর রহমান মোক্তার একই গ্রামের মৃত আলী হোসেন হাওলাদারের ছেলে। আহতের বাবা সমন খান ও ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, ‘৪ বছর যাবৎ নির্যাতন অত্যাচার করে আসছে। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ হয়েছে। ৪ বছর আছে মালখানগর কলেজ রোডে একটি দোকান করে দিয়েছিলাম, কিন্তু লোকসান দেখিয়ে ছেড়ে তা দিয়েছে। তখন ৬০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। এরপর ঝুট ব্যবসার জন্য এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিলাম, সেখানে এক বছরে লোকসান দেখাল। তারপর নারায়ণগঞ্জে বনফুল মিষ্টির এজেন্ট করতে ৫ লাখ টাকা দিয়ে দিলাম। সেখানেও লোকসান দেখাল, তখন সালিশ করে ৩ লাখ ফেরত আনি ২ লাখ লোকসান দেখায়। ১ বছর বেকার থাকার পর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি নেয়। সেখানে তার ভাল লাগে না আবার টাকা চায়। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে ঝগড়া হয়। রাত ২টার দিকে বড় একটি কাঁচি দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় পিঠের ওপর বসে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে রুপাকে। তখন তাদের ছেলে সৈকত (১০) ও মেয়ে মোসরাত (০৬) চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মশিউর পালিয়ে যায়। বাঁধ রক্ষায় অংশ না নেয়ায় হামলা ॥ ৬ বাড়ি ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ৫ এপ্রিল ॥ খালিয়াজুরি উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের হারারকান্দি গ্রামের দাসপাড়ায় পাঁচ-ছয়টি সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে একই গ্রামের কয়েক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ সময় তারা স্থানীয় কালী মন্দিরেও হামলা চালায়। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে হারারকান্দি ও পাতরা গ্রামের মাঝে অবস্থিত একটি ফসল রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেলে এলাকার অনেকে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি রক্ষায় এগিয়ে আসেন।
×