ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বজুড়ে তরুণরা রাজনীতি বিমুখ

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৫ এপ্রিল ২০১৭

বিশ্বজুড়ে তরুণরা রাজনীতি বিমুখ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিশ্বের তরুণরা রাজনীতি বিমুখ ও উৎসাহিত না হওয়ায় বৈশ্বিকভাবে ৩০ বছরের কম বয়সী সংসদ সদস্য মাত্র এক দশমিক ৯ শতাংশ। বিশ্বে ১২০ কোটি তরুণ ভোটার রয়েছে। যাদের ৫৭ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। কিন্তু সংসদ সদস্য মাত্র দুই ভাগেরও কম। যারাও বা সংসদ সদস্য হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। সংসদে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব খুবই নগন্য, যা খুবই হতাশাজনক। রাষ্ট্র যদি তরুণদের রাজনীতিতে আসার জন্য বা পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য উৎসাহিত করে তাহলে এ বৈষম্য দূর হবে। তাই তরুণ সংসদ সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো তাগিদ দিয়েছে ‘ফোরাম অব ইয়ং পার্লামেন্টেরেয়িানস’। মঙ্গলবার আইপিইউ সম্মেলনের চতুর্থ দিনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। যুব সংসদ সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে গত দুইদিন বৈঠক শেষে এ তথ্য তুলে ধরেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনÑ সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ২৬ বছর বয়সী উগান্ডার সংসদ সদস্য মাউরিন অসরো, আইপিইউ’র জেন্ডার পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের প্রধান জিইনা হিলাল এবং আইপিইউ’র মিডিয়া স্পোকসপার্সন জিন মিলিগান। সংবাদ সম্মেলনে ফোরাম অব ইয়ং পার্লামেন্টেরেয়িানসের প্রেসিডেন্ট মাউরিন অসরো জানান, সংসদে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব খুবই নগন্য, যা খুবই হতাশাজনক। আইপিইউ সম্মেলনে মাত্র ৩০ বছরের নিচে পার্লামেন্টারিয়ান রয়েছেন ১২ জন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তরুণরা রাজনীতিতে আসতে চাইলেও তাদের নানা ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। বিশেষ করে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। এছাড়া রাজনীতিচর্চার সুযোগ কম থাকা, অর্থের অভাব ও ভোটারদের আস্থার অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, যুবকদের অনেকে বিশ্বাস করতে পারেন না। প্রশ্ন তোলেন তারা পার্লামেন্টে গিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ কর্মে কতটা অংশ নিতে পারবে। এসব কারণে পার্লামেন্টে তরুণরা রাজনীতিতে আসতে অনীহাও প্রকাশ করেন। তবে আইপিইউ সম্মেলন তরুণদের ভোটের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় করতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ সময় ১২৮টি দেশের সাংসদদের ওপর ‘ইয়ুথ পার্টিসিপেশন ইন ন্যাশনাল পার্লামেন্ট-২০১৬’ শীর্ষক একটি গবেষণা জরিপ উত্থাপন করা হয়। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে ৩০ বছরের নিচে সংসদ সদস্য রয়েছেন ১ দশমিক ৯ শতাংশ। ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ এবং ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে ২৬ শতাংশ সংসদ সদস্য রয়েছেন। গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বে সবচেয়ে তরুণ সংসদ সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে সুইডেনে। সেখানে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ সংসদ সদস্যের ৩০ বছরের মধ্যে। ইকুয়েডর রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এ দেশে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ৩০ বছরের নিচে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ফিনল্যান্ডে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৪র্থ স্থানে থাকা নরওয়েতে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ ৩০ বছরের নিচের সংসদ সদস্য রয়েছেন। আর ৪০ বছরের নিচে বয়সী সংসদ সদস্যদের মধ্যে ডেনমার্ক এগিয়েÑ সেখানে আছে ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ, এনডোরা ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ ও ইকুয়েডর ৩৮ শতাংশ। আরও বলা হয়, বৈশিকভাবে ৪৫ বয়সের নিচ বয়সী সংসদ সদস্যদের দিকে থেকে এগিয়ে ওমান। এখানে ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ , ইথিওপিয়া ৬৩ দশমিক ৬ এবং এনডোরা ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ এমপির বয়স ৪৪ বছরের নিচে। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকান দেশগুলোতে ৩০ বছরের নিচের বয়সী সর্বাধিক সংসদ সদস্য রয়েছে। বৈশিকভাবে তরুণ সংসদ সদস্যদের মধ্যে পুরুষ ও নারী অনুপাত হচ্ছে ৬০:৪০। মাত্র ৯টি দেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে ৪৫ বছরের নিচের বয়সী ৫০ শতাংশের অধিক নির্বাচিত হয়েছেন। আবার বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশের নিম্নকক্ষে কোন ইয়ং পার্লামেন্টারিয়ান নেই। নিজের দেশের বৈষম্যমূলক পরিস্থিতি তুলে ধরে মাউরিন অসোরু জানান, ১৮ বছর বয়সে সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। সে ভোটাধিকার পায়, এ সময় কোন অন্যায় করলে তাকে বিচারের আওতায় এনে প্রয়োজনে জেলেও পাঠানো হয়। কিন্তু একই বয়সে কাউকে সংসদে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না, যা খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, তবে সুখের বিষয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি ইয়ং উইং থাকে। এছাড়া কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে তরুণরা নিজেদের তৈরি করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে নিতে পারে। তরুণদের পার্লামেন্টে আনতে প্রয়োজনে কোটার ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান তিনি। মাওরিন ওসোরু বলেন, রাষ্ট্র যদি তরুণদের রাজনীতিতে আসার জন্য বা পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য উৎসাহিত করে তাহলে এ বৈষম্য দূর হবে। গণতন্ত্রের সুফল পেতে সময়ের প্রয়োজনে অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন। যাতে করে বৈশ্বিকভাবে পার্লামেন্টে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়তে পারে, কেননা বর্তমান বিশ্ব গতির বিশ্ব, তরুণরা অনেক বেশি গতিশীল ও সক্রিয়। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তরুণদের প্রতিনিধিত্বে আনার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান, উৎসাহিত করা এবং মনোনয়নের বিষয়ে স্বচ্ছতা রাখতে হবে। আইপিইউ সম্মেলন থেকে সব সদস্য দেশগুলোর প্রতি আরও বেশি তরুণ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ নিয়ে বিতর্ক ॥ বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ’কে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে আইপিইউ সম্মেলনে বিতর্ক উঠেছে। এই দু’টি সংস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হলে তাদের কাজের পরিধি কি হবে সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আন্তর্জাতিক ওই সংস্থা দু’টির সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেননা এই দুই সংস্থা কেবলমাত্র ঋণ দিতে পারে। অন্য যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত দেয়ার সক্ষমতা নেই। আর, প্রয়োজন মনে করলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ প্রদত্ত ঋণের বিষয়ে তদারকি করতে পারে। মঙ্গলবার স্ট্যার্ডিং কমিটি অন ইউনাইটেড নেশন এ্যাফিয়ার্সের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই কমিটির চেয়ারপার্সন সুইডেনের সংসদ সদস্য এন্টি আভসান ইতোপূর্বে কমিটির বৈঠকে সংস্থা দু’টির বিষয়ে ওই আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, এ আলোচনাকালে এসডিজির অর্জনের বিষয়টি উঠে এসেছে। এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের অংশীদারিত্ব বাড়ানো এবং আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিনিধিরা তাগিদ দিয়েছেন বলে তিনি জানান। এ আলোচনায় অংশ নিয়ে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গ্লোল (এমডিজি) বাস্তবায়ন সফলভাবে করতে পেরেছিলাম বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাকে বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এসডিজি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ। তবে, এসডিজি নিয়ে আলোচকরা যেসব বক্তব্য রেখেছেন এর জন্য আমি গর্বিত। কারণ সবাই বলেছেন, এসডিজি বাস্তবায়নে একত্রে কাজ করতে চান। তাই আইপিইউ প্রতিনিধি সদস্যদের কাছে অনুরোধ জানাব, যেন একসঙ্গে কাজ করেন। তাহলে এসডিজি অর্জন সম্ভব হবে। ভারতের প্রতিনিধি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ভালো দিকগুলো, মন্দ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ভারত দরিদ্র নিরসনে কাজ করছে। অবহেলিত জনপদের মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনা বৃদ্ধি স্যানেটেশন এবং শিক্ষা নিয়েও কাজ করছে। নারীকে অথনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করতে পারলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। চীনের প্রতিনিধি বলেন, চায়না সরকার শিক্ষা ও নারীর জন্য সহায়ক কিছু নতুন আইন সংযোজন করেছে। যা এসডিজির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। উন্নয়নশীল দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করলে এসডিজি দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। গরিব দেশগুলোকে কিভাবে সাহায্য করা যায় সে জন্য কার্যকর নীতি গ্রহণের দাবি জানান কিউবার প্রতিনিধি। জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধি বলেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি) ও সহায়তা নিয়ে তাদের সংসদ অনেক কাজ করছে। তবে এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে তাদের নেয়া পদক্ষেপ কম নয়। বিশ্বের প্রতি তিনজনের একজনই বাল্যবিবাহের শিকার ॥ বিশ্বের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন কিশোরীর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। যারা দৈহিক ও মনস্তাত্ত্বিক কোনভাবেই বিয়ের জন্য প্রস্তুত থাকে না। যাদের বিয়ের পর গর্ভপাত ও যৌন সমস্যায় ভুগতে হয়। এমনকি তারা নানাভাবে নির্যাতিত হয়। আবার ১১ শতাংশ কিশোরী ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে গর্ভধারণ করে। যে কারণে অনেকের মৃত্যুও হয়। ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলনে ‘কিশোর-কিশোরীদের জন্য নীতি এবং তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় সংসদ সদস্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক বিশেষ বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বলা হয়, ওই সকল কিশোরীদের মানবাধিকার মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এ ঘটনা ঘটছে। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ ঘটনা বেশি। এ বিষয়ে সংসদ সদস্যরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। এ সম্মেলন থেকে সেই উদ্যোগ নিতে হবে। আইপিইউ’র নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির নির্বাহী পরিচালক হেলগা ফগস্টাডের সঞ্চালনায় বৈঠকে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ভেংকটরামন চন্দ্র। আলোচনায় অংশ নেন রুয়ান্ডার সিনেটর সিলেসটিন সিবুহোরো, নেপালের উন্নয়নকর্মী মালিহা ফাইরোজ ও ইউএনএইডসের সালমা খান। সূচনা বক্তব্যে হেলগা ফগস্টাড বলেন, বৈশ্বিক এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিশোর-কিশোরীরা স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য এ বিতর্ক ভাল চর্চা হবে। তিনি আরও বলেন, শারীরিক, মানসিক, আবেগ, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দক্ষতা পূরণের জন্য কৈশোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এগুলো একজন পরিপূর্ণ মানুষ তথা পুরো সমাজের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার ভিত্তি। যে কোন নির্দিষ্ট জনসংখ্যার মধ্যে কিশোর-কিশোরীদের (যারা ১০-১৯ বছর) গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিবছর প্রায় অযৌক্তিক বা বন্ধ করা যায় এমন কারণে এক মিলিয়ন কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হয়। আর ১০ মিলিয়ন অন্যান্য ইনজুরিতে ভোগে। যার ক্ষতিকর প্রভাবে তারা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী স্বাস্থ্যহীনতায় ভুগছে। মূল প্রবন্ধে ভেংকটরামন চন্দ্র বিশ্বব্যাপী কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অনেক দেশেই এখনও ১৫ বছর হতে না হতেই কিশোরীদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। কিশোরীদের অধিকাংশই স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড দ্বারা নির্যাতিত হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনক কথা, অনেক দেশে এ ঘটনাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখা হয়। অনেকেই মনে করেন, স্ত্রী বা মেয়ে বন্ধুর সঙ্গে তাদের এ ধরনের আচারণ করার অধিকার আছে। এনিয়ে হতাশার কারণে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মূল প্রবন্ধে তিনি আরও বলেন, ধূমপানের কারণে কিশোর-কিশোরীদের ২৫ শতাংশ কিডনি ও হার্টের সমস্যায় ভুগছে। ১৫ থেকে ২০ ভাগ শিশু কিশোর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। আর যৌন সমস্যা তো আছেই। তিনি বলেন, গুগলে পর্নোগ্রাফি পাওয়া যাচ্ছে। অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন শিক্ষা নেই। ১৫ থেকে ১৯ বছর কিশোরদের পরিবর্তনের সময়। অথচ এ বিষয়ে তারা সুশিক্ষা পায় না। এ বিষয়ে আইপিইউ’র মতো সংস্থাগুলোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার। সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে সবকিছু করতে পারেন। তাই এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
×