ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৯৫ হাজার শিক্ষার্থীকে দেয়া হলো টিফিনবক্স পানির পট

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৮ মার্চ ২০১৭

৯৫ হাজার শিক্ষার্থীকে দেয়া হলো টিফিনবক্স পানির পট

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ সংসদ সদস্যদের অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দের চাল-গম বা অর্থ দিয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন দীর্ঘদিনের প্রথা। কিন্তু এ প্রথা নিয়ে রয়েছে কমবেশী অভিযোগ। তাই এবার এ ধারা পাল্টে দিলেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন। গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার ৯৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর হাতে তুলে দিলেন পানির পট আর টিফিনবক্স। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যেন পানির জন্য ছুটতে না হয় মাইলের পর মাইল পথ। কিংবা দুপুরের খাবারের জন্য ছুটতে না হয় বাড়ি। বরং এ সময়টুকু যেন অধ্যয়নের কাজে লাগে। লেখাপড়ার মানোন্নয়নে সংসদ সদস্যের এ উদ্যোগকে ‘ব্যতিক্রমী’ বলছে স্থানীয়রা। জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এলাকার সংসদ সদস্যের অনুকূলে প্রথম পর্যায়ে টিআর ও কাবিটা বিশেষ কর্মসূচীর আওতায় গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায় ২ কোটি ২৪ লাখ বরাদ্দ আসে। বরাদ্দের অর্ধেক অর্থ দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়। বাকি অর্ধেক অর্থ দিয়ে স্কুল পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের পানির পট ও টিফিনবক্স দেয়া হয়। এর মধ্যে গলাচিপা উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা স্তরের ২৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬১ হাজার ৭০৬ জন এবং দশমিনা উপজেলার ১৫৪টি প্রতিষ্ঠানের ৩৩ হাজার ২৯৪ ছাত্রছাত্রীর মাঝে টিফিনবক্স ও পানির পট দেয়া হয়। সংসদ সদস্য আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন নিজের হাতে এসব সামগ্রী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। বিতরণকৃত প্রতিটি টিফিনবক্সে ‘সুষম খাদ্য শিশু-কিশোরদের শারীরিক গঠন ও মেধা বিকাশে সহায়ক’ লেখা রয়েছে। এ ধরনের ‘ব্যতিক্রমী’ উদ্যোগ এলাকার মানুষের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও যথেষ্ট উৎফুল্লতা প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি সংবাদ সম্মেলন স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ পুরাতন বাস-মিনিবাস, হিউম্যান হলারের রুট পারমিট ইস্যু বা নবায়ন না করলে পরিবহন ধর্মঘটসহ কঠিন কর্মসূচী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতির সমন্বয়ে গঠিত চট্টগ্রাম সিটি সড়ক পরিবহন মালিক ফেডারেশন। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, দফায় দফায় তেল-গ্যাস ও গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশের মূল্যবৃদ্ধিসহ সকল প্রকার ট্যাক্স বৃদ্ধির ফলে পরিবহন শিল্প আজ মৃতপ্রায়। এরমধ্যে কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির ১৫-২০ বছরের পুরতান গাড়ির রুট পারমিট ইস্যু বা নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। একটি মহল এ শিল্পকে ধ্বংস করার পাঁয়তারায় লিপ্ত বলে তারা অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম সিটি সড়ক পরিবহন মালিক ফেডারেশনের নুরুল আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, বিআরটিএ’র হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে বাস রুটের সংখ্যা ১৫টি। সিলিং সংখ্যা এক হাজার ৩৭৭টি। ইস্যুকৃত রুট পারমিটের সংখ্যা এক হাজার ৯০টি। হিউম্যান হলারের রুট সংখ্যা ১৬টি, সিলিংয়ের সংখ্যা এক হাজার ৩১৪টি। ইস্যুকৃত পারমিটের সংখ্যা এক হাজার ৫৪টি। অর্থাৎ সর্বমোট এক হাজার ৩৭৭টি বাসের সিলিংয়ের মধ্যে ২৮৭টি রুট পারমিট খালি আছে এবং এক হাজার ৩১৪টি হিউম্যান হলারের সিলিংয়ের মধ্যে ২৬০টি রুট পারমিট খালি আছে। সর্বমোট ৫৪৭টি নতুন বাস ও হিউম্যান হলারের নতুন রুট পারমিট ইস্যু করা যায়। এতে মেট্রো আরটিসি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে পরিবহন সঙ্কট নিরসন করা সম্ভব।
×