ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৫ মার্চ ২০১৭

কবিতা

ওই পতাকায় নাসের মাহমুদ খুব সকালে গাঙের ধারে বু’ দাঁড়িয়ে কুয়াশায়, ফিরবে বুঝি তার ছেলেটিÑ থাকে আমার বু’আশায়। কাদলো কতো বু’যে আমারÑ কিচ্ছু ভালোবাসে না, যুদ্ধে গিয়ে তার ছেলেটি আর তো ফিরে আসে না। নয়টি মাসের যুদ্ধ শেষে দেশও স্বাধিন হয়েছে। বু’ কেঁদো না, তোমার ছেলে ওই পতাকায় রয়েছে। চেতনার দিন ফারহানা মোবিন তুমি আমার পতাকা, আমার মানচিত্র, তুমি চেতনার দিন তুমি আমার মিত্র। মনের আকাশে আমার প্রজাপতি তুমি, আমার অবারিত মাঠ, ফসল ভরা ভূমি। তুমি আমার চেতনা, আমার জেগে ওঠার দিন, তোমার জন্য এদেশ হল রক্তে রঙিন। তুমি আমার পরিচয় আমার ভালোবাসা, তুমি হও সোনার বাংলা, এইতো মনের আশা প্রাণের দামে সনজিত দে ত্রিশ লক্ষ প্রাণের দামে এই পতাকা এই পতাকা বুক জড়িয়ে তাই তো রাখা। তোমরা যারা দেশদ্রোহী ধরবে না এই পতাকা ধরলে আমার বকবে মা। এই পতাকার পবিত্রতা সবচে দামি এই পতাকা মায়ের কাছে শান্তিকামী। এই পতাকা আমার কাছে বিশ্বময় একাত্তরে যুদ্ধ করে পেলাম জয়। একাত্তরের মার্চ আ.ফ.ম. মোদাচ্ছের আলী একাত্তরের মার্চে যখন ফুঁসছিল এই দেশটা শঙ্কা আশায় ভাবছিল সব কি হবে এর শেষটা। নেতা মুজিব দিলেন ভাষণ উঠলো কেঁপে ওদের আসন জয় বাংলারই রণে, মুজিব বলেন চল এগিয়ে দেশের মানুষ জনে। দিলেন নেতা যেই ঘোষণা ছাব্বিশ তারিখ রাতে, বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে যুদ্ধ জয়ে মাতে। লড়াই লড়াই লড়াই করে দর্পে চলে মুক্তি দল, একাত্তরের এই সময়ে ফুটছে পলাশ শতদল। স্বাধীনতা আবেদীন জনী স্বাধীনতার রং মিশিয়ে আঁকি জীবন ছবি ইচ্ছেমতো ছন্দ-কথায় কাব্য লিখেন কবি। মুক্ত পায়ে মিষ্টি সুরে খুকির নূপুর বাজে অরুণ খোকা সৃজন আলো ছড়ায় বিশ্বমাঝে। রাখাল বাজায় পাতার বাঁশি কী অপূর্ব সুর! সেই সুরেতে স্বাধীনতার স্বর্ণালি রোদ্দুর। স্বাধীনতা পাখপাখালির ডানায় ডানায় থাকে নকশি কাঁথায় আমার বুবু স্বাধীনতা আঁকে।
×