ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা হত্যার দায়ে তিন জনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১৬ মার্চ ২০১৭

কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা হত্যার দায়ে তিন জনের ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ১৫ মার্চ ॥ চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা খবির উদ্দিন হত্যা মামলার রায়ে তিন আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রেজা মোঃ আলমগীর হাসান এ রায় প্রদান করেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্তরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার গোয়ালগ্রামের আব্দুল হামিদ মালিথা (৪১), একই গ্রামের আব্দুস সালাম শেখ ও জামিল ম-ল (৪১)। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামালার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে দৌলতপুর উপজেলার গোয়ালগ্রাম মাঠে মোটর পাহারা দেয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধা খবির উদ্দিনের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামিরা। পরদিন সকালে ওই মাঠ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার একদিন পর নিহতের স্ত্রী উরজিনা বেগম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে গার্মেন্টস কর্মীকে হত্যার দায়ে এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। রায়ে একই সঙ্গে দ-প্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ এ.কে.এম এনামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। দ-প্রাপ্ত আসামির নাম ফরহাদ হোসেন ওরফে মারুফ (৩০)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বারবৈকা এলাকার মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বারবৈকা এলাকার মৃত মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক ভূইয়ার ছেলে মোঃ নিরু মিয়া ওরফে বিজয় নগপাড়া এলাকায় গার্মেন্টসে কাজ করত। বিজয়ের কাছ থেকে একই এলাকার মারুফ স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কয়েকদিনের জন্য ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করায় বিজয় ওই টাকার জন্য মারুফকে একাধিকবার তাগাদা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বার বার টাকার জন্য তাগাদা দেয়ায় মারুফ ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়কে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনাটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান বিজয়। এক পর্যায়ে ২০১২ সালের ১০মে মারুফ তার ভাই সোহরাব (২৮) ও বোন শাহনাজ (৩৫) কে সঙ্গে নিয়ে নিরুদের বাড়িতে যায় এবং স্ট্যাম্পটি ফেরত দিয়ে পাওনা টাকা আনার জন্য তাদের সঙ্গে বাসায় যেতে বলেন। এ সময় নিরু স্ট্যাম্প নিয়ে আসামিদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এর তিনদিন পর ১৩ মে স্থানীয় মোঃ কফিল উদ্দিনের বাসার পশ্চিমের ডোবা থেকে নিরু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা নিলুফা বেগম বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। চাঁপাইয়ে বাবার যাবজ্জীবন স্টাফ রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জানান, দেড় বছরের শিশু সন্তানকে হত্যার দায়ে বাবার যাবজ্জীবন কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ এনামুল বারী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দ-প্রাপ্ত হচ্ছেন- গোমস্তাপুর উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুরের নূহু মুন্সীর ছেলে আব্দুল হালিম। মামলার বিবরণে জানান, ২০১১ সালের ৪ অক্টোবর আব্দুল হালিম ভোলাহাট উপজেলার নাজিরপুরে তার শ্বশুরবাড়িতে যান এবং নিজের জমি বিক্রি করার জন্য স্ত্রী আয়েশা বেগম ইতির সঙ্গে আলোচনা করেন। স্ত্রী জমি বিক্রিতে আপত্তি জানালে তাদের মাঝে বাগবিত-া হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী ঘর থেকে বাইরে এলে আব্দুল হালিম প্যান্টের বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাদের দেড় বছরের শিশু রিফাতকে। ওইদিনই স্ত্রী আয়েশা বেগম ইতি বাদী হয়ে আব্দুল হাকিমকে আসামি করে ভোলাহাট থানায় হত্যা মামলা করেন।
×