ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

২১ মাস পর ভারতে পাচার হওয়া ৮ শিশু দেশে ফিরল

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৫ মার্চ ২০১৭

২১ মাস পর ভারতে পাচার হওয়া ৮ শিশু দেশে ফিরল

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ পাচারকারীদের মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হওয়ার ২১ মাস পর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের’ মাধ্যমে বাংলাদেশী ৮ শিশুকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে বিএসএফ সদস্যরা বেনাপোল চেকপোস্ট বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেন। ফেরত আসা শিশুরা হলো- আবুল কালাম শেখের ছেলে ইয়াসিন শেখ (১২) ও ইব্রাহিম শেখ (১৫), আবুবকর সিদ্দিকের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (১৬), জামাল ফারুকের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম (১৬), মৃত ইবাসতুল্লাহ সর্দারের ছেলে আজিবার সর্দার (১৭), আবুল হোসেনের ছেলে ওয়াসিকুল ইসলাম (১৬), সরোয়ার গাজির ছেলে নাঈম গাজি (১৪) ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৬)। এরা খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। বিজিবির বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল ওয়াহাব জানান, ২১ মাস আগে এসব শিশুদের ভাল কাজের প্রলোভন দেখিয়ে একটি দালাল চক্র দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে নিয়ে যায়। পরে দালালরা তাদের ভাল কাজের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় সে দেশের পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে কলকাতার ‘ধ্রুবাশ্রম’ নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরবর্তীতে এনজিও সংস্থা এসব শিশুদের নাম, ঠিকানা জোগাড় করে যাচাই-বাচাই করে। পরে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগে ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের’ মাধ্যমে বাংলাদেশ ফেরত পাঠায়। ঝিকরগাছা ব্রিজ ঝুঁকিতে স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষ নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে চলছে আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। এতে ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, নতুন ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, দেশের অন্যতম স্থলবন্দর বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দরকে যশোরসহ সারাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষের ওপর নির্মিত এ ব্রিজটি। এ ব্রিজটির ওপর দিয়ে দিনরাত হাজার হাজার টন মালামাল ও যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে উন্নয়নের পথে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা বলেছে, ‘ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ব্রিজের মাঝখানের অংশ মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে পাকসেনারা বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেয়। স্বাধীনতার পরে এটির মাঝের অংশ নির্মাণ করা হয়। বছর দশেক আগে ব্রিজটির বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেগুলো একটু আধটু সংস্কার করা হলেও এটি এখন আমাদের কাছে আতঙ্কের বিষয়।’
×