ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজ দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস

উপকূলীয় এলাকায় ৪শ’ মুজিব কিল্লা, ৬০ হাজার ঘরবাড়ি উঁচু করা হবে

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ১০ মার্চ ২০১৭

উপকূলীয় এলাকায় ৪শ’ মুজিব কিল্লা, ৬০ হাজার ঘরবাড়ি উঁচু করা হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ উপকূলীয় ও বন্যাপ্রবণ এলাকায় ৪শ’ মুজিব কিল্লা নির্মাণ ও ৬০ হাজার ঘরবাড়ি উঁচু করবে সরকার। আজ ১০ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস। দিবসটি পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সচিব মোঃ শাহ কামাল এ তথ্য জানান। তারা আরও বলেন, রাজধানীতে ৩২১টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো সিলগালা করা হয়েছে। দ্রুত এগুলো অপসারণ করে নতুন ভবন তৈরি করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বন্যার সময় দেখেছি মানুষ বাঁধের ওপর গিয়ে আশ্রয় নেয়। বন্যাকে সহনশীল করার দীর্ঘমেয়াদী উপায় ও পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় ১৯টি বন্যাকবলিত জেলার ৬০ হাজার বসতবাড়ি উঁচু করা হবে। তিনি বলেন, দুস্থ-অসহায় পরিবার, প্রতিবন্ধী বা ষাটোর্ধ বয়সী দরিদ্র মানুষ যাদের সামর্থ্য নেই তাদের ঘড়বাড়ি উঁচু করে দেয়া হবে। এর ফলে বন্যার সময় তাদের বেড়িবাঁধ বা অন্যান্য স্থানে আশ্রয়ের জন্য ছুটতে হবে না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি (সিপিপি) গঠন করেছিলেন। তখন উপকূলীয় ১০টি এবং বন্যাপ্রবণ দুটি জেলা থেকে ১৯৯টি মুজিব কিল্লার তথ্য পাওয়া যায়। ওই সময় মানুষ মাটি উঁচু করে কিল্লা নির্মাণ করে নাম দেয় মুজিব কিল্লা। উপকূলীয় ও বন্যাপ্রবণ এলাকায় ৪শ’টি মুজিব কিল্লা নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, মোট ৪০টি জেলায় প্রোগ্রাম ডিজাইন করে ৪শ’টির মতো মুজিব কিল্লা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশা করি আগামী জুনের মধ্যে এটা অনুমোদন দেবে একনেক। এ কিল্লা মানুষ এবং গৃহপালিত পশুর আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে নির্মাণ করা হবে। মুজিব কিল্লার সামনে একটি মাঠও থাকবে। এ মাঠ স্থানীয়রা তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করবে। বহুমুখী ব্যবহারের কথা ভেবেই আমরা এ কিল্লার ডিজাইন করেছি।
×