ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আড়াইহাজারে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষ ॥ আহত ১৫

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৫ মার্চ ২০১৭

আড়াইহাজারে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষ ॥ আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ৪ মার্চ ॥ আড়াইহাজারে একটি মাজারে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’টি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মাজারের খাদেম ও স্থানীয় মেম্বারসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনার জের ধরে ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে গরু ও টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার বিশবন্দী ইউনিয়নের টেটিয়া এলাকায়। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের টেটিয়া এলাকায় সোলায়মান লেংটার মাজারে ওরশ চলার সময়ে বিশনন্দী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার হানিফা তার লোকজন নিয়ে খিচুড়ি জোর করে নিতে চাইলে মাজারের খাদেম সেরু মিয়া তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে ওই মেম্বারের সঙ্গে খাদেমের তর্কবিতর্ক হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হানিফা মেম্বার ও তার লোকজন মাজারের খাদেম সেরু মিয়া, মাজারে আগত ভক্ত আয়নাল, মিছির আলী, অলি মিয়া, দিল মোহাম্মদ, নরুননবী হোসেন, কালু মিয়া ও বাতেনকে পিটিয়ে আহত করে খিচুড়ি নিয়ে যায়। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ও মাজারে ওরশে আসা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় হানিফা মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় এবং হানিফা মেম্বারকে ধরে মারধর করে। ওই সময় মেম্বারকে রক্ষা করতে গিয়ে তার ভাই সামসুল, রিপন, বোন রুমি, ছেলে রাজিব আহত হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন মেম্বারের খেড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে আড়াইহাজার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে হানিফা মেম্বার বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। হানিফা মেম্বার জানান, হামলাকালীরা তার গোয়ালঘর থেকে ১০টি গরু এবং বসতঘর থেকে টাকা-পয়সা ও স¦র্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে। মাজারের খাদেম সেরু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, হানিফা মেম্বার তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মাজারে হামলা চালিয়ে লোকজনদের আহত করে জোর করে খিচুড়ি নিয়ে গেছে। সিলেটে আহত ৩০ স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, বিয়ানীবাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের গজুকাটা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, গজুকাটা গ্রামের সাবেক মেম্বার আফতাব আলীর গোষ্ঠী ও হাজী আকদ্দছ আলীর গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, সংঘর্ষের ঘটনার তিনদিন পূর্বে গজুকাটা গ্রামের আকদ্দছ আলীর বাড়ির সুপারি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে উনার গোষ্ঠীর রুবেল আহমদ। এ সময় বাড়ির মালিক পক্ষ সুপারি চুরির দায়ে ধৃত রুবেলকে তিরস্কার ও গালাগালি করেন। এ ঘটনায় একই গ্রামের আফতাব আলী (সাবেক মেম্বার) সুপারী চোরের পক্ষ নিয়ে পরদিন আকদ্দছ আলীর গোষ্ঠীকে হুমকি দেন। এ নিয়ে হাজী আকদ্দছ আলীর গোত্রের লোকজন শনিবার সকালে নিজেদের মধ্যে এক সভায় মিলিত হয়।
×