ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে জামালপুরের কৃষকরা

প্রকাশিত: ০০:৪৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে জামালপুরের কৃষকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর ॥ ধান-পাটসহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভ হওয়ায় তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে জামালপুরের কৃষকরা। বিড়ি ও সিগারেট কোম্পানীর মালিক লাভজনক এই তামাক চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুললেও ক্ষতিকারক এই তামাক চাষে কৃষকদের নিরুসাহিত করতে জোরালো কোন ভুমিকা নেই স্থানীয় কৃষি বিভাগের। জামালপুর সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে তামাক চাষ করে আসছে কৃষকরা। বিভিন্ন বিড়ি কোম্পানীর প্রতিনিধিরা কৃষকদের লাভজনক এই তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করায় দিন দিন তামাক চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাক চাষীরা বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান বা অন্যান্য ফসল চাষ করে যেখানে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পাওয়া যায় না। কোন কোন সময় লোকসান গুনতে হয়। সেখানে এক বিঘা তামাক চাষ করে খরচ বাদে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করা যায়। তামাক অধিক লাভ জনক ফসল হওয়ায় তারা তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তারা আরও বলেন, রোপা-আমন ও ইরি-বোরো মধ্যবর্তী সময়ে অন্য ফসলের চেয়ে তামাক চাষ অধিক লাভ জনক। তামাক চাষের পর বোরো চাষে তেমন সারের প্রয়োজন পড়ে না। এতে দুই দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন তারা। তামাক চাষ ক্ষতিকর হলেও লাভজনক এই ফসল চাষ করে দুপয়সা বেশী ঘরে তুলতে পারে তারা। সারা জেলার তামাক চাষের সঠিক হিসাব না থাকলেও স্থানীয় কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার ৪০ হেক্টর (৩শ’ বিঘা) জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। তবে জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আবু হানিফ বলেছেন, তামাক চাষে নিরৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগের কর্মীরা কাজ করছে। কৃষকদের সচেতনমুলক নানা কর্মসুচি পালন করায় ইতিমধ্যে তামাক চাষ কমে আসছে বলে দাবী করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষকদের তামাক চাষের পরির্বতে লাভজনক সবজি চাষে উদ্ভুদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। তামাক চাষে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে কি না? এমন এক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, তামাক খেলে ক্ষতি হয়। তবে তামাকের নির্যাস থেকে জৈব বালই নাশক তৈরী করা হচ্ছে। যা বিষমুক্ত কিটনাশক বা পরিবেশ বান্ধব সবজি চাষে ব্যবহার করা হয়।
×