ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক উন্নয়নে খেলাধুলাও প্রভাব বিস্তার করে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক উন্নয়নে খেলাধুলাও প্রভাব বিস্তার করে ॥ প্রধানমন্ত্রী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত চতুর্থ রোল বল বিশ্বকাপের পর্র্দা নেমেছে বৃহস্পতিবার। এদিন পল্টনে নবনির্মিত শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে কমপ্লেক্সটির উদ্বোধনও করেন তিনি। রোল বল বিশ্বকাপে প্রায় ছয় শ’ ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স এবং মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম। প্রায় এক সপ্তাহব্যাপী এ ক্রীড়াযজ্ঞ শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। সকালে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছোট ভাইয়ের নামে ‘শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স’-এর উদ্বোধন করেন। এরপর পুরুষ ও মহিলা দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন ভারত ও রানার্সআপ ইরান দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন। টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা বাংলাদেশের দ্বীন হাসান হৃদয়ের হাতে এক লাখ টাকা চেকের রেপ্লিকা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। আসরে বাংলাদেশ পুরুষ দল চতুর্থ স্থান অধিকার করে আর মেয়েরা বিদায় নেয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি মনে করি, খেলাধুলার মাধ্যমে একটি দেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে অন্য দেশের খেলোয়াড়দের একটা মতবিনিময়ের সুযোগ হয়। এতে বন্ধুত্বের সূচনা হয়। তাছাড়া ‘ট্র্যাক থ্রি ডিপ্লোমেসি’র এ সময়ে খেলাও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। আঞ্চলিক সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের আয়োজনে অংশ নেয়া ৬২৫ জন ক্রীড়াবিদ বাংলাদেশ দেখে গেলেন। আপনারা নিজের দেশে গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে এ্যাম্বাসেডরের ভূমিকা পালন করবেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে যা দেখলেন তা বলতে পারবেন।’ সমাপনী অনুষ্ঠানে আসতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘সমাপনী অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের মাঝে আসতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। এ খেলাটি বাংলাদেশে খুব পরিচিত নয়। আমাদের আরও উদ্যোগ নিতে হবে, রোল বল খেলাটি যেন আর পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যেন ছড়িয়ে দিতে পারি, সে সুযোগটা আমাদের সৃষ্টি করতে হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের যুবসমাজ যেন খেলাধুলার প্রতি আরও সম্পৃক্ত হয়, সেজন্য আমরা প্রত্যেকটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম এবং জেলাগুলোতে স্টেডিয়ামের সঙ্গে সঙ্গে সুইমিংপুল নির্মাণসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে যাচ্ছি। খেলাধুলার প্রতি যেন ছেলেমেয়েরা আরও আগ্রহী হয়।’ খেলাধুলার মানোন্নয়নে সরকার পদ্মার চরে একটি ক্রীড়াপল্লী ও অলিম্পিক কমপ্লেক্স গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের পদ্মা সেতু তৈরি হচ্ছে। সেই পদ্মার চরেই আমরা একটি উন্নতমানের ক্রীড়াপল্লী গড়ে তুলব, যেখানে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এমনকি আমরা একটি অলিম্পিক কমপ্লেক্সও সেখানে তৈরি করতে চাচ্ছি।’ সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেনÑ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী বীরেন শিকদার এমপি, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ, প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বাস্তবায়নের মুখ্য আহ্বায়ক ও রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, যুব ও ক্রীড়া সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আসিফুল হাসান।
×