ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুই দিনে চট্টগ্রাম নগরীতে দেড় কোটি টাকার ফুল বিক্রি

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দুই দিনে চট্টগ্রাম নগরীতে দেড় কোটি টাকার ফুল বিক্রি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী ফাল্গুন মাসের ১ তারিখ মানেই বসন্তের আগমন। এ উপলক্ষে প্রতিবছর ইংরেজী বর্ষপঞ্জিকার ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে উদযাপিত হয় বসন্ত উৎসব। আর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদযাপিত হয় ভ্যালেন্টাইন ডে বা বিশ্ব ভালবাসা দিবস। গত সোমবার এবং মঙ্গলবার ছিল এই দুইটি বিশেষ দিবস। প্রথমদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ গত সোমবার দেশে উদযাপিত হয়েছে বসন্ত উৎসব। আর ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব ভালবাসা দিবস। প্রতিবারের মতো গত ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশ ভেসেছে ফুলের বন্যায়। রাস্তা-ঘাট, মাঠসহ প্রায় সবস্থানেই দেখা গেছে নানা রঙের ফুলের মেলা। অনেকের ঘরও সেজেছে রঙিন ফুলে। চট্টগ্রাম নগরীতেও অনেকটা একই চিত্র দেখা গেছে। বসন্ত উৎসব এবং বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে গত দুইদিন নগরীর সবপ্রান্তের ফুলের চাহিদা কয়েকগুণ বেশি ছিল। প্রতিটি ফুলের দোকান ছিল সরগরম। ব্যস্ত সময় পার করেছে ফুল চাষী থেকে শুরু করে ফুল ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা; ব্যবসা ছিল জমজমাট। গত দুইদিনে শুধু চট্টগ্রাম নগরীতে দেড় কোটি টাকার ফুলের ব্যবসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ফুল ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। বসন্ত উৎসব ও বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের স্থায়ী ও অস্থায়ী মোট ৩২০টি দোকানে ফুল বিক্রি করা হয়েছে। নগরীর ফুলের দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ যে কোন সময়ের তুলনায় বসন্ত উৎসব এবং বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ২-৩ গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে প্রায় সব ধরনের ফুল। ৫ টাকার লাল গোলাপ বিক্রি হয়েছে ১৫-২০ টাকায়; বিদেশী লাল, সাদা, গোলাপি রঙের গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকায়। রজনীগন্ধার প্রতিটি স্টিকের জন্য ক্রেতাদের দিতে হয়েছে ১২-১৫ টাকা; চন্দ্রমল্লিকা ৩০ টাকার বদলে বিক্রি হয়েছে ৫০-৮০ টাকায়। প্রতিটি ১০ টাকার কালার গ্লেডিয়াসের দাম রাখা হয়েছে ২০-২৫ টাকা। ১৫ টাকা দামের জার্বেরা ফুল বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকায়; ৮০ টাকার চায়না লিলি ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা; চায়না কান্ডিশন ও অর্কিড সাধারণত প্রতিপিস ৮০ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। এছাড়া ২০০-৩০০ টাকা দামের প্রতিটি ফুলের তোড়া বিক্রি হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকায়। একইসঙ্গে প্রায় সব ধরনের ফুলের ঝুড়ি ও মুকুটের দামও কয়েকগুণ বেড়েছে। মানভেদে ফুলের ঝুড়ি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫০০ টাকায়।
×