ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তির স্তম্ভ মার্কিন-জাপান সম্পর্ক

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তির স্তম্ভ মার্কিন-জাপান সম্পর্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশ ও জাপানের মধ্যকার মৈত্রীকে প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তির মূল স্তম্ভ বলে অভিহিত করেছেন। এর আগে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। খবর বিবিসি অনলাইনের। হোয়াইট হাউসে আলোচনার পর ট্রাম্প জাপানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান। ট্রাম্পের কথার প্রতিধ্বনি করে আবে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন। ট্রাম্প ইতোপূর্বে জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করে গাড়ি নির্মাতা টয়োটার ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। শুক্রবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জাপানকে এক গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও বলেন যে, দু’দেশ প্রশান্ত মহাসাগরে নৌচলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সহ প্রতিরক্ষা সামর্থ্য গড়ে তোলা অব্যাহত রাখবে এবং অভিন্ন স্বার্থরক্ষা করবে। জাপান ওই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে মার্কিন সামরিক প্রতিশ্রুতির নিশ্চয়তা চায়। কারণ, চীন এক সামরিক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে আর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া এর পরমাণু কর্মসূচীর উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। ট্রাম্প ও আবের এক যুক্ত বিবৃতিতে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তিতে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ অন্তর্ভুক্ত বলে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়। পূর্ব চীন সাগরে অবস্থিত ওই দ্বীপপুঞ্জ জাপানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চীন ও এর মালিকানা দাবি করে থাকে। চীন দিয়াওয়া দ্বীপপুঞ্জ বলে থাকে। চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওই অঞ্চল ক্রমশ শক্তি প্রদর্শন করছে। বাণিজ্য সম্পর্ক প্রসঙ্গে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন যে, তার প্রশাসন টোকিওর সঙ্গে ‘অবাধ’ ও ‘সুষ্ঠু’ সম্পর্ক চাইবে। আবে ওই মন্তব্যের সঙ্গে একমত হন, কিন্তু তিনি কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মতপার্থক্য দূর করতে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এর আগে তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে তার সফর তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা করবে। তিনি মার্কিন জাপানি বাণিজ্য সম্পর্ককে ‘সত্যিকার অর্থেই পারস্পরিক লাভজনক’ বলেও বর্ণনা করেন। দুই নেতা বিতর্কিত ১২ জাতি ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) বাণিজ্য চুক্তি থেকে ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামী সপ্তাহান্তে আলোচনা করবেন বলে মনে হয়। টোকিও ওই চুক্তির পক্ষে জোরালো লবিং করেছিল। গত মাসে ট্রাম্প টুইট করেন যে, টয়োটা মাক্সিকোতে একটি প্ল্যান্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির জন্য গাড়ি নির্মাণ করবে। তিনি বলেন, কোনভাবেই নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্ল্যান্ট তৈরি করুন, নয়ত বড় অংশের সীমান্ত বার দিন। টয়োটো এর জবাবে জানায় যে, যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানির উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের পর্যায় হ্রাস পাবে না।
×