ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইউনাইটেডেই থাকছেন রুনি

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ইউনাইটেডেই থাকছেন রুনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতার মালিক হয়েছেন আরও আগেই। সম্প্রতি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে কিংবদন্তি ববি চার্লটনকে ছাড়িয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৫০ গোলের রেকর্ডটাও নিজের করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ওয়েন রুনি। কিন্তু এমন সাফল্যের পরও ওল্ডট্র্যাফোর্ডে ইংলিশ স্ট্রাইকারের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। তাই জোর গুঞ্জন রুনিও পাড়ি জমাতে পারেন চাইনিজ সুপার লীগে। যেখানকার দলগুলো ইতোমধ্যেই বিশাল অর্থের টোপে নিজেদের করে নিয়েছে কার্লোস তেভেজ, অস্কার, হাল্ক, পাতোদের মতো ফুটবল তারকাদের। তবে রুনির ব্যাপারে এসব গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়েছেন ক্লাবটির অভিজ্ঞ কোচ জোশে মরিনহো। জানিয়েছেন মৌসুমের বাকি সময়টাতে ওল্ডট্র্যাফোর্ডেই থাকছেন রুনি। প্রকৃতপক্ষে চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ইউনাইটেডের কোচ জোশে মরিনহোর সেরা দলের তালিকাতে ছিল না রুনির নাম। বিশেষ করে সুইডিশ স্ট্রাইকার জ¬াতান ইব্রাহিমোভিচ নতুন করে ওল্ডট্র্যাফোর্ডে ঠিকানা গড়ার পর থেকেই প্রথম একাদশে অনিয়মিত হয়ে পড়েন রুনি। এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লীগের মাত্র আট ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন তিনি। তারচেয়ে প্রথম একাদশে বেশি ছিলেন জোয়ান মাতা, জেসে লিনেগার্ড, এ্যান্থনি মার্শাল, মার্কাস রাশফোর্ডের মতো খেলোয়াড়রা। আর ইব্রাহিমোভিচ ও পল পগবা তো এখন দলের সেরা ভরসাই হয়ে উঠেছেন। এক নম্বর তারকা হিসেবে খেলে এখন পর্যন্ত ৩০ ম্যাচে ১৮ গোল করে ইব্রাহিমোভিচই মরিনহোর প্রিয় পাত্র। রুনি খেললে এখন মূলত মাঝমাঠেই খেলেন। যেটি তার আসল জায়গা নয়। ইউরোপীয় লীগে খেলোয়াড়দের দলবদলের বাজার শেষ। কিন্তু চাইনিজ সুপার লীগে তা চলবে এ মাসের পুরোটা সময় জুড়েই। তাই চীনে পাড়ি জমাতে রুনির হাতে আরও একমাস সময় রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, তার দীর্ঘদিনের পরামর্শদাতা পল স্টার্টফোর্ড ইতোমধ্যেই চীনের কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে কথাও বলেছেন। চীনা কয়েকটি ক্লাব ইংল্যান্ড অধিনায়ককে পেতে পা বাড়িয়েই দিয়েছে। ঘনিষ্ঠজনদের নাকি রুনি নিজেই বলেছেন তা। ওল্ডট্র্যাফোর্ডে তার থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ গ্রীষ্মেই। তবে মরিনহো বলছেন রুনি ইউনাইটেডেই থাকছেন। রুনির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আর কোন খেলোয়াড়কে কিনছিও না এমনকি ছাড়ছিও না।’ সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বক্লাব ফুটবলে বিশাল টাকা উড়াচ্ছে চীন। তবে মরিনহোর মতে, ‘যারা চাইনিজ সুপার লীগে নাম লেখাতে চায় তাদের আমি দোষ দেব না। বিশেষ করে যারা ক্যারিয়ারের শেষদিকে চলে এসেছে।’ ম্যানইউ এ মৌসুমে বিক্রি করেছে মেমফিস ডিপাই এবং মরগানকে। শোনা যাচ্ছে ক্লাব ছাড়বেন এ্যাশলে ইয়ংও। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ২৭ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফারের বিনিময়ে এভারটন থেকে ম্যানইউতে যোগ দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বাধিক গোলদাতা রুনি। বড় অঙ্কের বিনিময়ে ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে তারকা ফুটবলারদের ভাগিয়ে এনে বিশ্ব ফুটবলে হইচই ফেলে দিয়েছে চীন। কিন্তু কোচ হিসেবে এতে গা ভাসাননি স্পেশাল ওয়ান। ইতোমধ্যেই চীনে উড়াল দেয়ার লোভনীয় অফার ফিরিয়ে দেয়ার কথাও প্রকাশ করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগীজ কোচ। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন হাইপ্রোফাইল খেলোয়াড় চীনে থিতু হয়েছেন। আবার অনেকেই আছেন যারা চাইনিজ ফুটবলের অভিজ্ঞতা নিতে অনীহা দেখিয়েছেন। শুধু খেলোয়াড় নয়, হাইপ্রোফাইল কোচের দিকেও দৃষ্টি রাখছে সিএসএল। গত বছর ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ার পরই চায়না ফরচুনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি। মরিনহোকে পেতেও উঠে পড়ে লেগেছিল তারা। কিন্তু সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের কোচের অবশ্য চীনে পাড়ি জমানোর কোন ইচ্ছাই নেই। তার মতে, ‘ইতোমধ্যেই আমি চীনে যাওয়ার বড় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু কেউ এটি করতে চাইলে আমি কারও সমালোচনা করব না। এটা তাদের পছন্দ, তাদের জীবন। শুধু তারাই সিদ্ধান্ত নেবে ভবিষ্যতে তাদের কি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রিমিয়ার লীগের অন্য ম্যানেজাররা সমালোচক, কিন্তু আমি নই।’
×