স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাগেরহাটের কচুয়া ও মোরেলগঞ্জের ১৪ রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য ২৮ মার্চ দিন নির্ধারণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার এ আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গত ২২ জানুয়ারি এ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। তাদের মধ্যে পাঁচজন রাজাকার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছে। এরা হলোÑ খান আকরাম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ উকিল উদ্দিন, ইদ্রিস আলী মোল্লা, মোঃ মকবুল মোল্লা, মোঃ আব্দুল আলী মোল্লা। তাদের সবাইকে এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী বলেন, ‘সোমবার মৌলভীবাজারের একটি মামলায় ট্রাইব্যুনাল পলাতক আসামিদের বিষয়ে একটি আদেশ দিয়েছিল। মামলাটির পলাতক আসামিদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল থেকে পলাতক আসামিদের ধরতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু পরে আমরা এ বিষয়ে কিছু জানতে পারিনি। আসামিদের ধরতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন আসলে কী পদক্ষেপ নেয় সে বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল, প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার স্পষ্টভাবে জানা দরকার।’ গ্রেফতার আসামি খান আকরাম হোসেন ও মোহাম্মদ উকিল উদ্দিনের পক্ষে গাজী তামিম ওকালতনামা
দাখিল করেছেন বলে জানান প্রসিকিউটর মুন্নী।
এ মামলায় পলাতক নয় আসামি হলো- খান আশরাফ আলী, সুলতান আলী খান, মকছেদ আলী দিদার, শেখ ইদ্রিস আলী, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রুস্তম আলী মোল্লা, মোঃ মনিরুজ্জামান হাওলাদার, মোঃ হাশেম আলী শেখ, মোঃ আজাহার আলী শিকদার। ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।