ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুমন্ত গুপ্ত

উন্নয়ন সূচকে এগিয়েছে দেশ

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

উন্নয়ন সূচকে এগিয়েছে  দেশ

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম হচ্ছে- জেনেভাভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা। বিশেষ করে প্রতিবছর সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে এর সভা অনুষ্ঠানের জন্য সংগঠনটি পরিচিত। সংগঠনটির সভায় চলতি বিশ্বের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্বের সর্বোচ্চ ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক নেতা, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, ও সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এছাড়াও এই সংস্থা চীনে প্রতিবছর ‘এ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়নস’ এবং বছরজুড়ে ধারাবাহিক কয়েকটি অঞ্চলভিত্তিক সভার আয়োজন করে। ২০০৮ সালে অঞ্চলভিত্তিক এই সভাগুলো অনুষ্ঠিত হয়, ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, রাশিয়া সিইও রাউন্ডটেবিল, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এবং ল্যাটিন আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে। ওই বছরে সংস্থাটি দুবাইয়ে ‘সামিট অন গ্লোবাল এজেন্ডা’ নামে একটি আলাদা সভারও আয়োজন করে। সভার আয়োজন ছাড়াও এই সংগঠনটি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন ও বিভিন্ন অঞ্চলে সুনির্দিষ্ট কাজে এর সদস্যদের কাজ করতে উৎসাহী করে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৪৭তম বার্ষিক সভায় ২০১৭ সালে ৫টি চ্যালেঞ্জের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এগুলো হলো- বৈশ্বিক সহযোগিতা শক্তিশালী, শেয়ারড আইডেন্টিটির ধারণা পুনর্বহাল, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুজ্জীবন, পুঁজিবাদের সংস্কার এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি ২০১৭’ শীর্ষক প্রতিবেদনে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে (আইডিআই) এক বছরে আট ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের উন্নয়নশীল ৭৯টি দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ৩৬। এক বছর আগে একই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৪। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) আয়ের ভিত্তিতে দেশটি উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ৬৬তম স্থানে থাকলেও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ৩০ ধাপ এগিয়ে রয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অনুসরণ করা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন পদ্ধতি একই আয়ের অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। ব্যাংক ও আর্থিক খাত থেকে অর্থ সংগ্রহে বাংলাদেশ একই আয়সীমার অন্য দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে স্থিতিশীল বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৪ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী নেতার মতামতের ভিত্তিতে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে বহুজাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে প্রতিবেদনের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে উন্নত ও উন্নয়নশীল এ দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে গত পাঁচ বছরে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সবচেয়ে উন্নতি করেছে আইসল্যান্ড। আর উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে লেসোথো।
×