ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বদরগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীকে জোর করে বিয়ে দিলেন মাতব্বর

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বদরগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীকে জোর করে বিয়ে দিলেন মাতব্বর

সংবাদদাতা, বদরগঞ্জ, রংপুর, ৪ ফেব্রুয়ারি ॥ বদরগঞ্জে নষ্টা অপবাদ দিয়ে মাতব্বরের নির্দেশে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে জোর করে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে নিজ বাড়িতে মাতব্বর তছলিমের ভয়ে মেয়েটির পরিবার অসহায় অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীর (মা মোহছেনা বেগম) গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বদরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের ঘাটাবিল মুন্সীপাড়ায়। জানা যায়, শনিবার, উপজেলার মুন্সীপাড়া গ্রামের ওই শিক্ষার্থী বদরগঞ্জ পৌরশহরের চাঁদকুঠির ডাঙ্গা কারিগরি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ে। ঘটনার দিন গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে বিকেল চারটার দিকে বাবা মায়ের সামনে থেকে মেয়েটি জোর করে তুলে নিয়ে যান ওই এলাকার মাতব্বর তছলিম। সেখানে এক সালিশ বৈঠকে মেয়েটি নষ্টা অপবাদ দিয়ে এলাকার মৌলভী আব্দুল রশিদকে দিয়ে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরদৌস নামে এক যুবকের সঙ্গে জোর করে তার বিয়ে দেন মাতব্বর তছলিম। পরে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সাংবাদিকরা মাতব্বর তসলিমের বাড়িতে গিয়ে একটি ঘরের ভেতর আটক অবস্থায় মেয়েটিকে দেখতে পান। এসময় মাতব্বর তছলিম সাংবাদিকদের দেখে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, মেয়ে ও ছেলে দুজনেই আমার গ্রামের। মেয়েটি নষ্টামি করায় আমি গ্রামের লোকজনদের দিয়ে তাদের বিয়ে দিয়েছি। মেয়েটি ছেলের সঙ্গে সংসার না করার কারণে, আমি তাকে আমার বাড়িতে আটকে রেখেছি। এটা দোষের কিছু নেই? আপনারা চলে যান আমাদের গ্রামের বিষয় আমরাই মেটাব। এদিকে থানা পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ওই রাতে মাতব্বর তছলিমের বাড়িতে হানা দেন। এ সময় ওই মাতব্বর মেয়েটিকে ছেলের হাতে তুলে দিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়ে। মেয়ের মা’ মোহছেনা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মোর ছইলোক (আমার মেয়ে) আমার বাড়ি থেকে মাতব্বর ও তার লোকজনরা জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে দেন এবং আমার মেয়েকে তারা লুকিয়ে রাখছে।
×