ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভোজ্যতেলের দাম বাড়লেও কমেছে সবজির দাম

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ভোজ্যতেলের দাম বাড়লেও কমেছে সবজির  দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আরেক দফা বেড়ে প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৭ এবং ৫ লিটার বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫২০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও এই তেল ৪৯০-৫১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আগামীতে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তায় লিটারে ৫ টাকা দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। যদিও ব্যবসায়ীদের সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে ভোক্তা মহলে। এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে প্রতিলিটারে মানভেদে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল ৮৮-৯০, পামঅয়েল লুজ ৭৩-৭৫ এবং পামওয়েল সুপার ৭৫-৭৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, দীর্ঘদিন ধরেই ভোজ্যতেলের নামে গলাকাটা ব্যবসা করছে এ খাতের ব্যবসায়ীরা। উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি দামে খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। মুনাফার অংশ ভাগযোগ করে নিচ্ছে আমদানিকারক, উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও দেশীয় বাজারে দাম বেড়ে যাচ্ছে। দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। এ প্রসঙ্গে কাপ্তান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আবদুল গনি জনকণ্ঠকে বলেন, পাইকারিতে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। দাম বাড়ার পেছনে ছোট ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই। ভোজ্যতেলের সঙ্গে বাড়তি চালের বাজার। ইতোমধ্যে সরু, মাঝারি ও মোটামানের চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তায় মানভেদে প্রতিকেজিতে ২-৪ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। সরু চাল ৫০-৫৬, মাঝারি ৪০-৪৫ এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়। সরবরাহ বাড়ায় শীতকালীন সবজির দাম কমছে। স্থিতিশীল রয়েছে আটা, ডাল, চিনি এবং ডিমের দাম। দেশী জাতীয় মাছের দাম কমতির দিকে রয়েছে। ব্রয়লার ও গরুর মাংসের দাম বেড়ে আর কমছে না। বাজারে দেখা মিলছে ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের ইলিশ মাছের। দামও তুলনামূলক কম। ভোক্তাদের অভিযোগ, বার্মিজ ইলিশে ভরে গেছে বাজার। এ কারণে ইলিশের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে, শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে দামও কিছুটা কম। এছাড়া কিছুটা দাম কমেছে রসুনের। মানভেদে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৭০ টাকায়।
×