ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মহাসড়কে নিষিদ্ধ যান বন্ধ ঘোষণা

জনপ্রতিনিধিরাই বড় বাধা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

জনপ্রতিনিধিরাই বড় বাধা

রাজন ভট্টাচার্য ॥ কয়েক দফা উদ্যোগের পরও মহাসড়কে বন্ধ হয়নি নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল। গত বুধবার আগামী সাত দিনের মধ্যে ১০ জেলার মহাসড়কে নসিমন করিমন বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ২২ জাতীয় মহাসড়কে অটোরিক্সাসহ তিন চাকার সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে। এরপর তা কার্যকর করতে ৬৪ জেলা প্রশাসক বরাবর আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠায় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। তবুও তা কার্যকর হচ্ছে না। শুক্রবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবকটি মহাসড়কে নিষিদ্ধ পরিবহন চলাচল করেছে। পরিবহন বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের সকল সড়ক-মহাসড়ক এখন নিষিদ্ধ ও অনুমোদনহীন যানবাহনের দখলে। এ কারণেই বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত বছর সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে অনুমোদনহীন পরিবহনের কারণে। এ কারণে সকল জেলার পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার পর মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। পরিবহন নেতারা বলছেন, মূলত রাজনৈতিক কারণে সড়ক মহাসড়কে অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ভোটের রাজনীতির স্বার্থে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছেন বেশিরভাগ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা যাত্রীকল্যাণ সমিতির হিসাবে গত বছর দেশে ৪ হাজার ৩১২টি ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৯০টি দুর্ঘটনা ইজিবাইকের কারণে এবং ৮৬৩টি নসিমন করিমনের কারণে ঘটেছে। এতে হতাহত হয়েছেন ২১ হাজার ৯৬৯ যাত্রী, চালক, শ্রমিক ও পথচারী। প্রাণ গেছে ৬ হাজার ৫৫ জনের। অঙ্গহানি হয়ে পঙ্গু হয়েছেন ৯২৩ জন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিক বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে এসব যানবাহন বন্ধে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সর্বশেষ এ ব্যাপারে আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার পর আবারও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আদালত এবার পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে অবৈধ যানবাহন বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের সহযোগিতা নিয়ে সবাই মিলে এ কাজটি করবে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আমরা বারবারই বলে আসছি সড়ক-মহাসড়কগুলোতে নিষিদ্ধ, অনুমোদনহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হোক। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এ নিয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি শেষ পর্যন্ত সড়কে নিষিদ্ধ পরিবহন চলাচল বন্ধ হয় তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন জরুরী বলেও মত দেন তিনি। বলেন, আদালতের রায় বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত তেমন কোন পদক্ষেপ আমরা দেখছি না। সারাদেশ এখন ছেয়ে গেছে নিষিদ্ধ যানবাহনে। সব মহাসড়কেই এসব পরিবহন চলাচল করছে বলেও জানান তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৯৯ ভাগ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মহাসড়কে চলা অনুমোদনহীন যানবাহন। বেপরোয়া ড্রাইভিং, অনুমোদনহীন যানবাহন, অপেশাদার চালকদের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি ॥ নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে হাইওয়েতে। ছোট ছোট অবৈধ যানবাহন যেমন- ভ্যান, রিক্সা, নসিমন, করিমন, ভটভটি, অটো রিক্সাÑ এসব পরিবহনই বেশি দায়ী। এছাড়া আইন অমান্য করে ধীরগতির বাহন মহাসড়কে এখনও চলাচল করে যা দূরপাল্লার বড় গাড়িগুলোর চলাচলে বিঘœ ঘটায়। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় বলা হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশকে অযান্ত্রিক ও নিষিদ্ধ পরিবহন চলাচল না করার ক্ষেত্রে তেমন কোন ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় না। তাছাড়াও ধীরগতির গাড়ির হেডলাইট না থাকার কারণে ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টিতে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। যেখানে ঘন কুয়াশায় লঞ্চ, স্টিমার, নৌকা এমনকি উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয় সেখানে কুয়াশায় গাড়ি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট গতি নির্ধারণ করা সত্ত্বে¡ও তা মানা হয় না। এক সময় ট্রাকের বেপরোয়া গতিকে বা চালনাকে দুর্ঘটনার জন্য বেশি দায়ী করা হলেও এখন তা অনেক কমেছে। কিন্তু বাসের বেপরোয়া গতিকে এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি নিসচার পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজার ১৪৪। ২০১৫ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫ হাজার তিন জন। এছাড়া ২০১৬ সালে মোট ২ হাজার ৩১৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ২২৫ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে প্রায় ১০ ভাগ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। ২০১৫ সালে ২ হাজার ৬২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল ৬ হাজার ১৯৭ জন, ২০১৬ সালে আহতের সংখ্যা ৯৭২ জন কম (৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত)। তবে সব সড়ক দুর্ঘটনার খবর সংবাদ মাধ্যমে না আসায় সারাদেশের দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা সম্ভব হয় না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে নিসচা। জাতিসংঘের নির্দেশনা ॥ জাতিসংঘ ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ ভাগ কমিয়ে আনার জন্য দশক ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের এ ঘোষণার সঙ্গে একাত্ম হয়ে ৭ম পাঁচশালা পরিকল্পনায় (২০১৬-২০২০) বর্তমান সরকার এসডিজিতে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৫০ ভাগ সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রধান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ইতোমধ্যে সরকার সড়ক নিরাপত্তা আইনের খসড়া প্রণয়ন করেছেন। সে খসড়া পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বাস্তবসম্মত আইন প্রণয়নের বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী পক্ষকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনারও সুপারিশ করা হয়েছে। আমাদের প্রস্তাব অনুযায়ী আইন প্রণীত ও তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করলে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেন, ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি নেই, আবার আমদানিতেও বাধা নেই। ১১ লাখেরও বেশি ইজিবাইক রাস্তায় চলছে। যা নিষিদ্ধ, তা আমদানি করতে দেয়া উচিত নয়। ব্যাপক প্রচার চালিয়ে ২০১৫ সালের ১ আগস্ট ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। তখন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অটোরিক্সা, ট্যাম্পোসহ কম গতির তিন চাকার যানবাহনকে মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে গত ১ আগস্ট থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এতে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমেছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী। দেশে আড়াই লাখ কিলোমিটার জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা ও গ্রামীণ সড়ক রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক-মহাসড়কের পরিমাণ ২১ হাজার কিলোমিটার। আর জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার। ২২ মহাসড়কেই চলছে নিষিদ্ধ পরিবহন ॥ দেশের প্রধান ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সিএনজিচালিত তিন চাকার যানবাহন, অটোরিক্সা, অটোট্যাম্পো ও অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ২০১৫ সালের সাত আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব মহাসড়কের নাম উল্লেখ করা হয়। যা এখনও বলবত রয়েছে। এই ২২টি প্রধান মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য আঞ্চলিক ও জেলা সড়কে অটোরিক্সা চলাচলে কোন বাধা নেই। যেসব মহাসড়কে অটোরিক্সা ও অযান্ত্রিক যানবাহন নিষিদ্ধের কথা জানানো হয়েছে সেগুলো হলা- এন-১ : কাঁচপুর সেতু থেকে মদনপুর-কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম-রামু (কক্সবাজার), এন ২ : কাঁচপুর সেতু-ঢাকা-ভেলানগর (নরসিংদী)-ভৈরব-সরাইল-মাধবপুর-মিরপুর-শেরপুর-সিলেট বাইপাস, এন ৩ : জয়দেবপুর চৌরাস্তা-ময়মনসিংহ বাইপাস পয়েন্ট, এন ৪ : জয়দেবপুর চৌরাস্তা-টাঙ্গাইল-জামালপুর, এন ৫ : আমিনবাজার সেতু ঢাকা-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া ঘাট-খয়ের চর ঘাট-কাশিনাথপুর-হাটিকুমরুল-বগুড়া বাইপাস-রংপুর বাইপাস-সৈয়দপুর বাইপাস-দশমাইল (দিনাজপুর)-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা, এন ৬ : কাশিনাথপুর (পাবনা)-পাবনা বাইপাস-দাশুরিয়া-নাটোর বাইপাস-রাজশাহী বাইপাস-নবাবগঞ্জ-সোনা মসজিদ-বালিয়াদিঘী স্থলবন্দর, এন ৭ : দৌলতদিয়া-ফরিদপুর (রাজবাড়ী মোড়)-মাগুরা-ঝিনাইদহ বাইপাস-যশোর বাইপাস-খুলনা সিটি বাইপাস-মংলা, এন ৮ : তেগোরিয়া মোড় (ঢাকা)-মাওয়া-কাওরাকান্দি-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী, এন ১০২ : ময়নামতি (কুমিল্লা)-ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাইপাস-সরাইল, এন ১০৫ : মদনপুর-ভুলতা-মীরের বাজার-বোগড়া-কড্ডা (ঢাকা বাইপাস), এন ৪০৫ : এলেঙ্গা-নলকা-হাটিকুমরুল, এন ৫০২ : বগুড়া-নাটোর, এন ৫০৬ : রংপুর-বড়বাড়ি-কুড়িগ্রাম, এন ৫০৭ : হাটিকুমরুল-বনপাড়া, এন ৫০৯ : বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী, এন ৫৪০ : নবীনগর-ইপিজেড-চন্দ্রা, এন ৭০২ : যশোর-মাগুরা, এন ৭০৪ : ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-দাশোরিয়া, এন ৭০৬ : চাষাড়া মোড় (যশোর)-বেনাপোল, এন ৮০৪ ও ৮০৮ : ভাঙ্গা-ফরিদপুর বাইপাস-রাজবাড়ী মোড়, এন ৮০৫ : ভাঙ্গা-ভাটিয়াপাড়া-মোল্লার হাট-ফকির হাট-নোয়াপাড়া, এন ৮০৬ : ভাটিয়াপাড়া-কালনা-লোহাগড়া-নড়াইল-যশোর। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, উন্নত দেশগুলোর মহাসড়কে অযান্ত্রিক কিংবা স্বল্পগতির যানবাহন চলাচলের কোন ব্যবস্থা নেই। আমাদের দেশে অপরিকল্পিতভাবে সড়কগুলো নির্মাণ হয়েছে। অযান্ত্রিক বা স্বল্পগতির যানবাহন চলাচলের বিষয়টি মাথায় না রেখেই সড়ক হয়েছে। অথচ পৃথক লেন করে দিলেই সমস্যার সমাধান হতো। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাসড়কের সঙ্গে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলে পৃথক লেন করার পরামর্শ দেন। এদিকে মহাখালী, সায়েদাবাদ, গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকার পরিবহন নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কোন রুটেই অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে উচ্চ আদালতের রায় কতটুকু বাস্তবায়ন হবে এ নিয়ে সন্দিহান তারা। বাস্তবতা হলো, সকল রুটে নিষিদ্ধ ও অযান্ত্রিক যানবাহনের দৌরাত্ম্য। এ নিয়ে নানামুখী সংকট এখন পরিবহন সেক্টরে। এর আগেও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে অনুমোদনহীন, অযান্ত্রিক, স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করেছিল। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভোটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শ্রমিকদের পক্ষে অবস্থান নেন। স্থানীয় জেলা প্রশাসকদের চাপ সৃষ্টি করেন। নেতারা জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে মেম্বাররা পর্যন্ত অবৈধ পরিবহন চালকদের পক্ষে অবস্থান নেন। তারা কোন অবস্থাতেই চান না এসব পরিবহন চলাচল বন্ধ হোক। উচ্চ আদালতের রায় যারা বাস্তবায়ন করবেন তাদের হাত পা বাঁধা। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোনের বাইরে গিয়ে জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে ্আসলেই কেবলমাত্র এ রায় বাস্তবায়ন সম্ভব।
×