ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিষাদেও আনন্দ কোকোর

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭

বিষাদেও আনন্দ কোকোর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্যটা এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই দেখালেন কোকো ভ্যানডেওয়েঘে। ২৫ বছর বয়সী এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মেও আছেন। সেটারই প্রমাণ দেখালেন এবার বছরের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম আসরের সেমিফাইনালে উঠে। কিন্তু আক্ষেপ নিয়েই বিদায় ঘটল তার। ঈর্ষণীয় সাফল্যের ধারা থমকে গেল সাবেক বিশ্বসেরা স্বদেশী অভিজ্ঞ ভেনাস উইলিয়ামসের কাছে হেরে। শেষ চার থেকে বিদায় নেয়ার পর দারুণ হতাশ তিনি। কিন্তু হারের পরও সবার কাছে যে করতালি ও ভালবাসা পেয়েছেন সেটার পর কষ্টটা ভুলেও গেছেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন তাই বর্তমানে ২৯ নম্বর র‌্যাঙ্কিংধারী এ তরুণীর জন্য একাধারে আনন্দ আর বিষাদের মিশ্র অনুভূতি। ক্যারিয়ারে প্রথম কোন গ্র্যান্ডসøামের সেমিতে উঠেছেন কোকো। এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভাল সময়টাও কাটিয়েছেন। বিষয়টি এমন নয় যে টুর্নামেন্টের ড্র’তে সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছিলেন। শুধু দ্বিতীয় রাউন্ড ছাড়া শিরোপা জয়ের ফেবারিটদের বিরুদ্ধেই লড়তে হয়েছে তাকে। প্রথম রাউন্ডে রবার্টা ভিঞ্চির বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পর দ্বিতীয় রাউন্ডে পাউলা পারমেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে জয় পান তিনি। এরপরই শুরু হয় কোকোর অগ্নিপরীক্ষা। তৃতীয় রাউন্ডে কানাডিয়ান তারকা ইউজেনি বাউচার্ড, চতুর্থ রাউন্ডে বিশ্বের এক নম্বর জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবার ও কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বের ৭ নম্বর স্পেনের গারবিন মুগুরুজাকে হারিয়ে হৈচৈ ফেলে দেন কোকো। তিনিও হয়ে ওঠেন শিরোপা জয়ের অন্যতম ফেবারিট। কিন্তু দুর্দান্ত এ উত্থান বাধাপ্রাপ্ত হলো সেমিতে ওঠার পর। এ কারণে ভেনাসের কাছে শেষ চারে হারে দারুণ হতাশ কোকো। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মুহূর্তেই আমি খুবই হতাশায় মুষড়ে গিয়েছিলাম। কিছু সময়ের জন্য আমি দারুণ দুঃখবোধ করছিলাম।’ প্রথম সেট জিতে এগিয়ে থাকার পরও পরাজয়টাকে কোকো ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সুযোগ হাতছাড়া হওয়া বলেই মনে করছেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই কষ্টটা ভুলে গেছেন তিনি। কারণ তার দলের সবাই এগিয়ে এসে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে জড়িয়ে ধরেছেন। দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে অভিনন্দিত জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কোকো বলেন, ‘আমি অনেক অনেক ভাল বোধ করেছি যখন আমার দলের সবাই হাসি মুখে কাছে এসেছে। আমি হতাশ হয়ে একাকী জিমনেসিয়ামে বসে ছিলাম, তারা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। প্রতিটি মানুষ যার সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা বলেছে আমার এ অর্জনে তারা গর্বিত। সবাই বলেছেন আমি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলেছি। এ কারণে হয়তো হতাশা আর দুঃখবোধটা কিছু সময়ের জন্য ছিল, পরে সেটা ভুলে গেছি আমি।’
×