ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাহিদা সাম্য লীনা

তবু মানুষ দিশা খোঁজে

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭

তবু মানুষ দিশা খোঁজে

সব সময় জেনে আসছি আইন সবার জন্য সমান। আইনের উর্দ্ধে কেউ নয়। কিনÍু বাস্তবতার কাছে এই কথাগুলোর ছিটেফোঁটা মূল্য কি আছে? অধিকাংশ ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। দুর্দমনীয় কষ্টের পর সুবিচার প্রাপ্তি অনেক আনন্দের। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে বাজার থেকে দ্রব্য কেনার মতো যদি বিচারটা এমন সহজ হতো তবে এই দুনিয়াতে অপরাধীর সংখ্যাও কমে যেত। আমাদের দেশে আইন আছে সত্য। কিন্তু সব আইনের প্রয়োগ কি আছে? আর যে আইনের প্রয়োগ নেই সেখানে বিচার পাওয়া তো লম্বা এক ফিরিস্তি। যেসব আইনের প্রয়োগ রয়েছে তাতেও বিচার পেতে ঢিমেতাল কম নয়। রাত আর দিন কোট-কাছারি করতে করতে একশেষ ; একেকজনের আয়ু নিঃশেষ হবার রয়েছে কত ইতিহাস! কত যে অন্যায় আর অবিচারের স্রোত এই দেশে নীরবে নিভৃতে কেঁদেছে। এখন অবশ্য অবিচার পেলেও নীরব থাকে না কিছু। মিডিয়ার সতর্কতায় প্রতি মুহুর্তে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার মানুষ জানতে পারছে নির্যাতিতার নিদারুণ কাহিনী আর আইনের প্রয়োগের দৃষ্টান্ত! শাসকদলের কেউ অপরাধ করে সাজা খেটেছেন এমন সংখ্যা কমই। টাকার কাছে আবার বিচার কেনাবেচা হওয়ার দুঃখজনক নজিরও মেলে। এজন্য অসহায় বিচারপ্রার্থীরা পিছিয়ে থাকে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনির হত্যাকান্ডের কুল কিনারা মেলে না। বিচার কি পেয়েছে তনুর পরিবার? আর মিতু হত্যাকান্ড কেন মোড় নিল অন্যখাতে? আরো উদাহরণ দিলেও এই অবিচারের হিসাবের ঝাঁপি শেষ হবার নয়। তবু মানুষ দিশা খোঁজে আইনের দুয়ারে। খুঁজবে অনন্তকাল। গরীব দুখী মানুষ যেন ন্যায্য বিচার পায়, সেজন্য শুধু আশ্বাস নয় কার্যকর ব্যবস্থা চাই। ফেনী থেকে
×