ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে কইয়ের তেলে কই ভাজা

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

বাগেরহাটে কইয়ের তেলে কই ভাজা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শরণখোলায় বাঁধের মাটি কেটেই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে। আবার বাঁধের পাশ ঘেঁষে মাটি কাটায় ভেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব নিয়েও তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন। অপরদিকে, মাটি সংগ্রহের নামে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষের ওপর জোর জবরদস্তি শুরু করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপকূলবাসীকে ঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষার্থে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের ৬৩ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে চীনের এইচসিডব্লিউই নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পার্শ্ববর্তী উপজেলা মোরেলগঞ্জের কুমারখালী থেকে শরণখোলার রাজৈর এলাকা পর্যন্ত ১৫ কি.মি. বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাব-কনট্রাক্ট নেয় ঢাকাস্থ বাংলাদেশ ফাউন্ডারি এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিঃ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক পর্যায়ে ওই ঠিকাদার গ্রুপ পূর্ব রাজৈর, দক্ষিণ রাজৈর ও কুমারখালী এলাকার ১০ কি.মি. বাঁধ নির্মাণের জন্য মাটি সংগ্রহের কাজ করতে গিয়ে বাঁধের পাশ ঘেঁষে বলেশ্বর নদী থেকে গভীর করে খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে মাটি লুট শুরু হয়। এতে স্থানীয় জমির মালিকরা বাঁধা দেয়। পূর্ব রাজৈর এলাকার শহিদুল ইসলাম, কৃষক মোতালেব হাওলাদার, নূর মোহাম্মদ, জেলে আঃ করিমসহ অনেকে বলেন, জমির মালিকদের সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে ফাউন্ডারি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে বাঁধের পাশ ঘেঁষে হাজার হাজার ঘনফুট মাটি কাটছে। এতে ভেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
×