ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইবির ট্রান্সক্রিপ্ট দেয়া হয় দোকান থেকে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

ইবির ট্রান্সক্রিপ্ট দেয়া হয় দোকান থেকে

ইবি সংবাদদাতা ॥ সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করেছি। ফি প্রদান করলেও একটি বাড়তি ফি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের একটি দোকানকে দিতে হচ্ছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে কম্পিউটার না থাকায় ট্রন্সক্রিপ্ট তৈরির জন্য বাইরের একটি দোকানের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে আমাদের। ভাবতেই অবাক লাগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাগজ তুলছি বাইরের একটি দোকান থেকে! এভাবেই ক্ষোভের কথা বললেন অনার্সের কাগজপত্র তুলতে আসা আল-হাদিস এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র আঃ মান্নান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একটি কম্পিউটার দোকানে প্রতিদিনই চলছে ট্রন্সক্রিপ্ট তৈরির কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে কম্পিউটার না থাকায় প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা ছুটছে নির্দিষ্ট দোকানটিতে। আধুনিকতার ছোঁয়া নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অফিসটিতে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস ডিজিটালাইজড করা না গেলে এ সমস্যা থেকেই যাবে। এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ে কাগজপত্র প্রদান না করা এবং অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের কাগজপত্র পাচ্ছে না। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। অভিযোগ রয়েছে অফিসের কিছু কর্মচারীকে কিছু টাকা প্রদান করলেই দ্রুত কাজ করে দেয়। অন্যথায় দিনের পর দিন এসে ঘুরে যেতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অফিসের কয়েকজন কর্মচারীকে টাকা প্রদান করলে সার্টিফিকেট উত্তোলনের কাজ ত্বরিত গতিতে সম্পন্ন হয়। না হয় দিনের পর দিন এসে ঘুরে যেতে হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরির জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসকে আগেই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এরপরও যদি বাইরের দোকানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ট্রেন্সক্রিপ্ট তৈরি করে আনতে হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট অফিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ বিষয়ে তিনি বলেন, কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
×