ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রযুক্তির দুনিয়ায় বিবিসির লড়াই

প্রকাশিত: ০৭:০১, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

প্রযুক্তির দুনিয়ায় বিবিসির লড়াই

সত্য খবরের বেশে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া সংবাদ বের করতে ও খবরের সত্যতা যাচাইয়ে একটি দল গঠন করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। অনলাইনে ভুয়া তথ্য ছড়ানো নিয়ে রাজনীতিবিদ ও সংবাদ সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিবিসির বার্তা প্রধান জেমস হার্ডিং বলেন, বিবিসি ‘মিথ্যা, বিকৃত ও অতিরঞ্জিত সংবাদের বিরুদ্ধে লড়াই’ চালিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিবিসি পুরো ইন্টারনেট সম্পাদনা করতে পারবে না, কিন্তু আমরা স্রেফ বসেও থাকব না। আমরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংবাদগুলোর সত্যতা যাচাই করব।’ ‘আমরা কীভাবে সবচেয়ে কার্যকরী হতে পারি, তা দেখতে আমরা বিশেষত ফেসবুকের সঙ্গে কাজ করছি। এখানে আমরা সংবাদের বেশে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়তে দেখি, আমরা একটি রিয়ালিটি চেক প্রকাশ করব।’ এই রিয়ালিটি চেক নিয়ে তিনি বলেন, ‘আর আমরা চাই রিয়ালিটি চেক একটি জনসেবার চেয়েও বেশি হবে, আমরা একে ব্যাপক জনপ্রিয় করতে চাই। আমরা অনলাইন, টিভি ও রেডিওর ধরন ও ফরম্যাট ব্যবহার লক্ষ্য করব- এটি নিশ্চিত করবে যে সত্য খবর মিথ্যার চেয়ে বেশি আকর্ষণীয়।’ ব্রেক্সিট আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো বড় ঘটনাগুলোতে ভুয়া সংবাদ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই ছড়ানো হয় শুধু মানুষকের দেখিয়ে বিজ্ঞাপনী আয় অর্জনের লক্ষ্যে, জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান। সবচেয়ে বিস্তৃত পরিসরে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে দেয়ার প্লাটফর্ম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, বলা হয়েছে দৈনিকটির প্রতিবেদনে। যেসব কনটেন্ট ভুয়া ও জনগণের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়াতে প্রকাশ করা হয়েছে আর যেগুলো দেখলে লোকে মনে করবে এটি কোন নামকরা সংবাদ সংস্থার প্রকাশ করা- এমন কনটেন্টের দিকে নজর দেবে বিবিসির রিয়ালিটি চেক দল। ভুয়া সংবাদ নিয়ে লড়াইয়ে বিবিসির এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এল, যখন অনলাইনে ছড়ানো বিভিন্ন ভুয়া সংবাদ নিয়ে একটি স্পর্শকাতর সময় যাচ্ছে। সম্প্রতিই এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন- ‘আপনারা ভুয়া সংবাদ।’ ভুয়া তথ্য শনাক্তে বিবিসির এই পদক্ষেপ আরও ‘ধীরগতির সংবাদ’ আনার চেষ্টার অংশ বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান। এক্ষেত্রে গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমেও জনগণকে সংবাদ বুঝতে সহায়তা করা হবে। নতুন এই পরিকল্পনায় বিশেষজ্ঞদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরির কথাও রয়েছে। এর মাধ্যমে বিবিসির কর্মীদের নিয়ে বিশ্বব্যাপী একটি ‘ইনটেলিজেন্স ইউনিট’ বানানো হবে। এই লক্ষ্যে নতুন নতুন ভাষায় পৌঁছাতে সংগ্রহ করা হয়েছে ২৯ কোটি পাউন্ড। হার্ডিং বলেন, ‘এই সংবাদ কীভাবে আসছে তাও আমাদের ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। আমাদের সংবাদে ধীরগতি প্রয়োজন, যে সংবাদে আরও গভীর তথ্য, তদন্ত, বিশ্লেষণ, বিশেষজ্ঞ মত থাকবে- যা আমাদের কাছে আমরা যে বিশ্বে বাস করছি তা বুঝতে সহায়তা করবে।’ উন্নত গেমিং সেবায় মাইক্রোফটের নজর এখন উন্নত গেমিং উইন্ডোজ ১০-এর জন্য ‘গেম মোড’ নামের নতুন এক ফিচার নিয়ে কাজ করছে মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। এর মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেমটি আরও দ্রুত হয়ে ব্যবহারকারীদের পিসি গেমিং অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি এক্সবক্স লাইভ-এ ‘এ্যারেনা’ ফিচার আনবে। এতে ব্যবহারকারীরা আয়োজিত কোন টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন। এমনকি নিজের মতো করে টুর্নামেন্ট শুরুও করতে পারবেন, যার মাধ্যমে সবার জন্য ইস্পোর্টস সহজলভ্য করা হবে বলে জানিয়েছে আইএএনএস। ২০১৬ সালে মাইক্রোসফট সরাসরি ভিডিও সম্প্রচারের প্লাটফর্ম বিমকে কিনে নেয়। বিম-এ ভিডিও গেমিং ও গেম খেলার সময় গেমারদের স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে যোগাযোগে সুযোগ দিতে জোর দেয়া হয়। এক বিবৃতিতে এক্সবক্স-এর প্লাটফর্ম ইঞ্জিনিয়ারিং প্রধান মাইক ওয়াইবাররা বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যৎ এক্সবক্স ওয়ান ও উইন্ডোজ ১০-এর একটি ফিচার হিসেবে বিমকে গঠন করছি, আপনার গেমপ্লেস্ট্রিমিংয়ের উপায় হিসেবে সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ একটি বিমকে হিসেবে গড়ে তুলছি।’ বিম ব্যবহারকারীর এক্সবক্স লাইভ এ্যাকাউন্টে যুক্ত হবে, আর তাদের পছন্দের গেমগুলো স্ট্রিম করা সহজ করবে। এজন্য কোন বাড়তি সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে না আর যে কোন জায়গার দর্শকরা এই স্ট্রিম দেখতে পারবেন ও সম্প্রচার হওয়া গেমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে এ্যাকটিভিটি ফিড-ও উন্নত করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে গেমাররা তাদের গেমিং বন্ধুদের সঙ্গে আরও বেশি যুক্ত হতে পারবেন। সূত্র : ডয়েচে ভেলে
×