ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বারি-১৪ জাতের শর্ষে কৃষকের আশীর্বাদ

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

বারি-১৪ জাতের শর্ষে কৃষকের আশীর্বাদ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ তেল জাতীয় ফসল চাষে কৃষকের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে বারি-১৪ জাতের শর্ষে। যশোরের বাঘারপাড়ায় চলতি মৌসুমে চাষের প্রায় নব্বই শতাংশই বারি-১৪ জাতের শর্ষে চাষ হয়েছে। এ প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সময় কম লাগে। ফলনও অন্য জাতের তুলনায় বেশি। কর্তনের পর সহজেই বোরো চাষ করা যায়। এসব কারণে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ জাতের সরিষা। যশোরের বাঘাড়পাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামের কৃষক সাহেব আলী বলেন, এক সময় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল টরি-৭ জাতের শর্ষে। তার বদলে এখন কৃষক বারি-১৪ জাতের চাষ করছে। টরি-৭ জাতের সরিষা চাষে প্রায় ১০ দিন সময় বেশি লাগে। ফলে বারি-১৪ জাত চাষ করলে বোরো আবাদে কোন সমস্যা হয় না। ফলনও দেড়গুণ বেশি। তেলের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাজারে চাহিদা বেশি। বারি-১৪ জাতের কৃষকের আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এ বছর ৫০ শতক জমিতে চাষ করেছি। ভাল ফলন হবে বলে আশা করছি। একই গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দীন বলেন, গত বছর ২০ শতক জমিতে বারি-১৪ জাতের শর্ষে ছিল। প্রায় ৪ মণ হয়েছিল। এ বছর ৪০ শতক জমিতে চাষ করেছি। বাঘারপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষকের মাঠে চাষাবাদের জন্য জাতীয় বীজ বোর্ড এ জাতটি ২০০৬ সালে অনুমোদন দেয়। কৃষক পর্যায়ে আসে ২০১২ সালে। স্বল্প মেয়াদি, উচ্চফলনশীল জাত বলেই আমনের পর সহজেই চাষ করা যায়। এ জাতটির জীবনকাল ৭৫ থেকে ৮০ দিন। যে কারণে সহজেই একই জমিতে বোরো আবাদ করা যায়। বর্জ্য ডাম্পিংয়ের ৫ ট্রান্সফার স্টেশন উদ্বোধন স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে আবর্জনা ও বর্জ্য ডাম্পিংয়ের জন্য ৫টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার এই ৫টি এসটিএস এর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এডিবির অর্থায়নের ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্তমানে ১২টি এসটিএস নির্মাণাধীন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরবান পাবলিক এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় এসটিএসগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। নগরীর এয়ারপোর্ট রোডের ১৪ নম্বর ঘাট এলাকায় এসটিএস-৫, ৬, ৮, ৯ ও ১১ এর ফলক উন্মোচন করেন চসিক মেয়র। মেয়র বলেন, ‘রাস্তার সব ডাস্টবিন ও কন্টেনার অপসারণ করা হবে। নগরীর পরিবেশ আরও উন্নত করা হবে।’ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম সচিব ও প্রকল্পের উপ-পরিচালক উত্তম কুমার কর্মকার, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান পরিচ্ছন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান ছিদ্দিকী। উপস্থিত ছিলেন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবদীন প্রমুখ।
×