স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা স্কুল এ্যান্ড কলেজে পিয়ন (এমএলএসএস) পদে চাকরি করেন সরুজ্জামান। পাশাপাশি তিনি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দলিল লেখক হিসেবে কাজ করেন। এ কারণে তিনি কোনদিনও স্কুলে উপস্থিত থাকেন না। তবে অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতায় নিয়মিত উপস্থিতি স্বাক্ষর করে আসছেন দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে। দাঁতভাঙ্গা স্কুল এ্যান্ড কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে পিয়ন পদে যোগদান করেন সরুজ্জামান। এরপর থেকেই তিনি অনুপস্থিত। তবে প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতায় তার উপস্থিতি রয়েছে। তার ইনডেক্স নম্বর ৮৩৪৭০৬ এবং প্রতিমাসের সরকারী বেতানবাতা ৯ হাজার ২৫৫ টাকা হারে উত্তোলনও করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের এক সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘ওই পিয়ন যোগদানের পর থেকে আমি একদিনও প্রতিষ্ঠানে দেখতে পাইনি। তবে স্কুল সময় ছাড়া মাঝে মাঝে অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে তাকে দেখেছি।
দাঁতভাঙ্গা স্কুল এ্যান্ড কলেজে উপস্থিতি না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় পিয়ন সরুজ্জামানের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, ‘চলতি মাসের ২ তারিখে আমি পিয়ন থেকে পদত্যাগ করেছি। তাই স্কুলে যাইনি।’ এর আগেও তো আপনি প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকেছেন অথচ সরকারী বেতনভাতা উত্তোলন করেছেন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওটা প্রিন্সিপাল স্যারকে বলুন। আমার বেতনের অর্ধেকের বেশি টাকা প্রিন্সিপাল স্যার নিয়ে ওই সুযোগ দিয়েছিলেন। এখানে আমি একা দোষী নয়।’ অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বদিউজ্জামান বলেন, ‘না, পিয়ন সরুজ্জামান পদত্যাগ করেননি। তবে তিনি প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বেশির ভাগ সময়ে এটা সত্য। এজন্য তাকে শোকজ করা হয়েছে।’ এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহালম পারভেজ বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ আমি এখনও পাইনি।