ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সি ড্রাগনের দেখা মিলল!

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

সি ড্রাগনের দেখা মিলল!

চীন ও জাপানের উপকথায় ড্রাগনের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এই প্রাণীটি এতদিন বাস্তবে দেখা যায়নি। তবে এবার অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রের ১৬৪ ফুট গভীরে পাঠানো ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ড্রাগনের মতো সামুদ্রিক এক প্রাণী। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সি ড্রাগন নামে সামুদ্রিক প্রাণীর অস্তিত্ব আগেই জানা ছিল। কিন্তু এবার ধরা পড়লো লাল রঙের সি ড্রাগন। প্রাণীটির পুরো শরীর লাল। একটা লেজও আছে। লেজ নাড়িয়ে প্রাণীটি গভীর সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়। লালবর্ণের কারণে বিশেষজ্ঞরা এর নাম দিয়েছে রুবি সি ড্রাগন। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে গভীর সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়া এক ক্যামেরায় লাল রঙের ওই সি ড্রাগন ধরা পড়ে। সমুদ্র নিয়ে গবেষণা করেন অধ্যাপক গ্রেগ রাউস। তিনি বলেন, ‘এর আগে দুই ধরনের সি ড্রাগন পেয়েছি আমরা। কিন্তু আমাদের ধারণা ছিল না তৃতীয় আরও এক ধরনের সি ড্রাগন পাওয়া যাবে।’ তিনি বলেন, রং ও চলাফেরায় অন্য দুই প্রকার সি ড্রাগনের চেয়ে এটি আলাদা। সি ড্রাগন প্রথম দেখা যায় ১৯১৯ সালে। এটির গায়ের রং ছিল হলুদ ও বেগুনি। পরে যে ধরনের সি ড্রাগন দেখা যায় তা সবুজ ও কমলা রঙের। তবে সবুজের আধিক্যই বেশি। সহজেই সবুজ পাতার মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। অর্থাৎ বোঝাই যায় না আসলে পাতা কোনটা আর সি ড্রাগন কোনটা। এ কারণে একে পাতা আকৃতির সি ড্রাগন বলেন বিশেষজ্ঞরা। ওই সি ড্রাগনের সঙ্গে সদ্য চোখে পড়া সি ড্রাগনের কিছুটা পার্থক্য আছে। এটির লেজ আছে। তা নাড়াচাড়াও করতে পারে। বিশেষ করে গভীর সমুদ্রই পছন্দ লাল সি ড্রাগনের। রঙের পাশাপাশি দেহের গড়ন ও জীবনধারণ আলাদা হওয়ায় লাল সি ড্রাগন চোখে পড়ার পর রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। Ñন্যাশনাল জিওগ্রাফিক অবলম্বনে
×