ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জোহানেসবার্গ টেস্ট

ডুমিনির শতকে চালকের আসনে প্রোটিয়ারা

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭

ডুমিনির শতকে চালকের আসনে প্রোটিয়ারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জোহানেসবার্গে সবার দৃষ্টি হাশিম আমলার দিকে। কারণ ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া তৃতীয় টেস্টের প্রথমদিন আলোটা নিজের ওপরে নিয়ে গেছেন জেপি ডুমিনি। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন তিনি। তার শতকে ভর দিয়ে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশাল সংগ্রহের পথে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চা বিরতির পর পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান তুলেছে তারা। আমলা তার শততম টেস্টে অবশ্য অর্ধশতক হাঁকিয়ে বেশ ভালভাবেই এগিয়ে চলেছেন। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতেই তাদের বড় দুটি ধাক্কা খেতে হয়েছে। টানা দুই ওভারে দলীয় ৪৫ রানের সময় সাজঘরে ফেরেন স্টিফেন কুক (১০) ও ডিন এলগার (২৭)। শুরুটা করেছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। আর যোগ দিয়েছিলেন লাহিরু কুমারা। কিন্তু দিনের শুরুর সেই সাফল্যটা বিবর্ণ হতে সময় লাগেনি লঙ্কানদের। এরপর অবিচ্ছিন্ন থেকে চা বিরতি শেষ করেও ব্যাট করে যাচ্ছেন ডুমিনি ও আমলা। আমলা ক্যারিয়ারের ১০০তম টেস্ট খেলতে নেমে হাঁকিয়েছেন ৩২তম ফিফটি। টানা ১০ ইনিংস তিনি কোন অর্ধশতক পাননি। অবশেষে সেই রানখরা কাটিয়েছেন। আর ডুমিনি করেন ক্যারিয়ারের ৬ নম্বর শতক। ডুমিনি ১৪১ বলে ১৪ চারে ১০১ ও আমলা ১১৯ বলে ৯ চারে ৬২ রান করে অপরাজিত। তৃতীয় উইকেটে দু’জনে যোগ করেছেন ১৭৫ রান। ২ উইকেটে ২১৯ রান তুলে বড় সংগ্রহের পথেই আছে প্রোটিয়ারা। ৪৮ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে সমালোচনা চলছেই স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ৩২ দেশের ফুটবল বিশ্বকাপে আরও ১৬টি দেশ যুক্ত করে মোট ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ থেকেই কার্যকর হবে তা। মূলত বিশ্বকাপের কাঠামো ঢেলে সাজাতেই ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্টিনোর প্রস্তাব গত মঙ্গলবার জুরিখের ফিফা সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন হয়। এর ফলে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের কাঠামোয় পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। তবে এ নিয়ে বিশ্বজুড়েই বইছে সমালোচনার ঝড়। স্পেনের লা লিগা তো রীতিমতো ক্ষোভ ঝেড়েছে ফিফার সভাপতির ওপর। শুধু তাই নয়, ফিফার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকিও দিয়েছে লা লিগা। জার্মানির সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার মাইকেল বালাক এটাকে ফুটবলের জন্য আত্মহত্যার সামিল বলে মন্তব্য করেছেন। তার মতে, ‘এটা ফিফার দায়িত্বজ্ঞ্যানহীন সিদ্ধান্ত। এটা ফুটবলের ওপরই আক্রমণ।’ জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ী কোচ জোয়াকিম লো বলেন, ‘আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যাতে খেলোয়াড়দের ওপর অতিরিক্ত খেলার চাপ না পড়ে।’ জার্মান ফেডারেশনের সভাপতি রেইনহার্ড গ্রিন্ডেল মনে করছেন এতে করে ম্যাচের গুরুত্বই কমে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমার ভয় হচ্ছে যাতে ম্যাচের আকর্ষণই কমে না যায়।’ নতুন প্রস্তাবনা অনুসারে ৪৮টি দল ১৬টি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রথম পর্বের খেলায় অংশ নেবে। প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ ২টি করে মোট ৩২টি দল যাবে নক-আউট পর্বে। এর ফলে বর্তমানের ৬৪ ম্যাচের কলেবর বেড়ে দাঁড়াবে ৮০ ম্যাচে। তবে পুরো আয়োজনটি বর্তমানের মতোই ৩২ দিনে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমান কাঠামোর পক্ষে ভোট প্রদানের সুযোগ ছাড়াও প্রস্তাব ছিল আরও ৩ ধরনের কাঠামোর। ৪০ দলের অংশগ্রহণে ১০ গ্রুপে ৪টি করে দল বা ৮ গ্রুপে ৫টি করে দলের প্রথম পর্ব আয়োজনের প্রস্তাব ছিল। চতুর্থ বিকল্পে ছিল ৪৮ দলের অংশগ্রহণে ১৬ গ্রুপের শীর্ষ ১টি করে ১৬টি দল সরাসরি দ্বিতীয় পর্বে যাবে এবং বাকি ৩২টি দলের মধ্যে নক-আউট লড়াইয়ে আরও ১৬টি দল সরাসরি সুযোগ পাওয়া ১৬ দলের সাথে যোগ দেবে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ ২টি করে দলের সরাসরি নক-আউটে যাবার প্রস্তাবই চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। ফিফার সভাপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, নতুন কাঠামোয় গ্রুপ পর্বেও প্রতিটি ড্র হওয়া ম্যাচ মীমাংসার জন্য টাইব্রেকারের বিধান রাখা হতে পারে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই পরের পর্ব নিশ্চিত করে ফেলা দলগুলো যেন নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাতানো খেলার সুযোগ না পায় সেজন্যই থাকতে পারে এমন ব্যবস্থা। নতুন ফরমেটে ফিফার ছয়টি মহাদেশের কোনটি থেকে অতিরিক্ত আরও ক’টি করে দলের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে সেটা জানা যাবে মে মাসের মধ্যেই। ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে ইউরোপিয়ান ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনও (ইসিএ)। আরও বেশি দেশকে বিশ্বকাপের স্বাদ দিতে ও ফুটবলের বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতেই এ সিদ্ধান্ত ফিফার এমন দাবি সঠিক নয় মন্তব্য করে সংস্থাটির দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফুটবলের স্বার্থে নয় বরং রাজনৈতিক চাপেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। ৩২ দলের বিশ্বকাপের পরীক্ষিত কাঠামোয় এতো বড় পরিবর্তন আনার আগে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে পর্যাপ্ত আলোচনা না করে ৯ বছর বাকি থাকতে এমন তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত নয় বলেও বিবৃতিতে জানান তারা।
×