অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর বাড়াতে যখন রফতানিকারক দেশগুলো এর উৎপাদন সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঠিক তখনই এ বাজার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দিলেন ফ্রান্সের এক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেছেন, আগামী এক দশকের মধ্যে জ্বালানি তেলের দর ব্যারেল প্রতি (এক ব্যারেল সমান ১৫৯ লিটার) ১০ ডলারে পৌঁছবে।
ফ্রান্সের জ্বালানি কোম্পানি ইঞ্জির এই মুখপাত্র থিয়ারি লেপার্ক জানান, বিশ্বব্যাপী ৫ ধরনের ‘জ্বালানিতে সুনামির’ কারণে তেলের এই পতন ঘটবে।
গত ডিসেম্বরের ব্লুমবার্গ বিজনেসে দেয়া সাক্ষাতকারে লেপার্ক এই পূর্বাভাসের কথা জানান। ব্লুমবার্গের বরাতে রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম আরটি বিজনেসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আর এমনটি হলে আগামীতে বাংলাদেশেও পণ্যটির দর কমবে। ওই সময়ে প্রতি লিটার তেল পড়তে পারে ৮ টাকারও নিচে।
লেপার্ক বলেন, ইলেকট্রিক যান, স্মার্ট ভবন, হাইড্রোজেনের পাশাপাশি যেভাবে সৌরশক্তি ও বিদ্যুত সংরক্ষণ সস্তা হচ্ছে তাতে তেলবাজার তার অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারবে না। আগামী এক দশকের মধ্যে এ বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, তেলের চাহিদা ২০২৫ সালের আগ পর্যন্ত বাড়তে পারে। কিন্তু তারপরও চাহিদা কমবে। ওই সময়ে দাম ঠেকতে পারে ব্যারেল প্রতি ১০ ডলারে।
ফ্রান্সের বহুজাতিক এ প্রতিষ্ঠানটি এখন বিদ্যুত উৎপাদন, বিতরণ, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবসা করছে। কোম্পানিটি ২০১৮ সালে মধ্যে জ্বালানি উৎপাদনে আরও ১ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। লেপার্কের যুক্তি, ২০২৫ সালের আগেই সৌরশক্তির দাম প্রতি মেগাওয়াট (ঘণ্টা) ১০ ডলারের নিচে নামবে। এই মাধ্যম হবে বিদ্যুত ও জ্বালানির সবচেয়ে সস্তা উৎস। তখন আর মানুষ চড়া দাম দিয়ে তেল কিনবে না।
প্রসঙ্গত, গত দুই বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর ৭০ শতাংশের বেশি পতন হয়। এতে রফতানিকারক দেশগুলোর মাথায় হাত উঠে। একসময়ে ১০৭ ডলারের তেল বিক্রি হয় মাত্র ২৬ ডলারে।
বাণিজ্যমেলায় নজর কাড়ছে শোপিস
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় হাজারো স্টলের ভিড়ে নজর কেড়েছে ঘর সাজানোর বিভিন্ন স্টল। দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তারা তাদের বাহারি ডিজাইনের শোপিস নিয়ে হাজির হয়েছেন মেলায়। ক্রেতা সমাগম জমজমাট না হলেও মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় রয়েছে।
সুন্দর, গোছানো, একটি ঘর সবার কাছেই কাক্সিক্ষত। এই ঘরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চেষ্টারও শেষ নেই।
তাদের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় শোপিসের স্টলগুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে।
দেশী-বিদেশী এসব স্টলে বিক্রি হচ্ছে বাহারি ডিজাইনের ঝাড়বাতি, আর্টিফিশিয়াল ফুল আর নজরকাড়া শোপিস। চীন, তুরস্ক, হংকং, থাইল্যান্ডের এসব পণ্য দেড়শ’ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলেন, শোপিস শুরু ১৫০০ টাকা থেকে এর পর ১ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম রয়েছে। এখনও ডিসকাউন্ট শুরু হয়নি। ডিসকাউন্ট শুরু হলে দাম কমবে। এখনও মেলা জমে না উঠলেও ক্রেতা-দর্শনার্থীর নজর কাড়ছে এসব স্টল। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পণ্য কিনতে স্টল ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। ক্রেতারা বলেন, দাম সহনীয় রয়েছে। আইটেমগুলো ভাল, তবে কৃত্রিম পণ্যের কারণে যতেœর বিষয় রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান শোপিসের বাজারে বিদেশী পণ্যের একচেটিয়া আধিপত্য থাকলেও দেশে এখন তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিকমানের শোপিস।