ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শব্দ দূষণের মাত্রা

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শব্দ  দূষণের মাত্রা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শব্দ দূষণের মাত্রা। শব্দ দূষণের শাস্তি হিসেবে অর্থদ- ও কারাদ-ের বিধান থাকলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকাসহ সবখানে চলছে শব্দ দূষণ। চিকিৎসকরা বলছেন, অতিমাত্রায় হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার আর বিকট শব্দের কারণে মাথাব্যথা ও শ্রবণশক্তি লোপসহ বাড়ছে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি। হাসপাতালকে নীরব এলাকা ঘোষণা করে শব্দের মানমাত্রা ৪৫ ডেসিবলের নিচে রাখার কথা থাকলেও তা মানছে না কেউ। আইনের তোয়াক্কা না করেই চট্টগ্রাম মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালের এক শ’ মিটারের মধ্যে দ্বিগুণ মাত্রায় হর্ন বাজিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে যানবাহন। আর সেবা নিতে এসে শব্দ দূষণের কারণে রোগী ও স্বজনদের পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। শব্দ দূষণ থেকে রেহাই নেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তাগুলোরও। যানবাহনের কানফাটা শব্দে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরাও। শব্দ দূষণের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবলের বেশি হলে মাথাব্যথা, হৃদরোগের পাশাপাশি শ্রবণশক্তি চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে জানালের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের নাক, কান, গলা বিভাগের প্রধান ডাঃ মুজিবুল হক খান। এদিকে পরবেশ অধিদফতর ২০১৫ সালে শব্দের একটা মানমাত্রা রেকর্ড করে তাতে দেখা যায় নীরব এলাকা, আবাসিক এলাকা, শিল্প এলাকা ও বাণিজ্যিক এলাকাসহ সব জায়গায় সহনীয় মাত্রার চেয়ে শব্দ দূষণের মাত্রা প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। বিআরটিএ এর তথ্য মতে, নগরীতে এক লাখের বেশি যানবাহন চলাচল করছে যার ২০ শতাংশই ব্যবহার করছে হাইড্রোলকি হর্ন।
×