নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া, ৬ জানুয়ারি ॥ দৌলতপুর কলেজে গোপনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ও এলাকার অভিভাবকদের বাঁধার মুখে তা প- হয়ে গেছে। শুক্রবার সকাল ১০টার কৌশলে কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনছার আলী খানের মনোনীত শিক্ষককে অধ্যক্ষ পদে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতিকালে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা ও অভিভাবকবৃন্দ কলেজে হামলা চালিয়ে তা প- করে দেয়।
জানা গেছে, দৌলতপুর কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী আনছার আলী খান গোপনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গত ডিসেম্বর মাসে তার আপন ভাতিজা ছাদিকুজ্জামান খান সুমনকে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন। এরপর তিনি একইভাবে কাউকে না জানিয়ে গোপনে তার এক নিকট আত্মীয় আজিজুল হককে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। শুক্রবার ছুটির দিন সকাল ১০টায় দৌলতপুর কলেজে পরিকল্পিত ও সাজানো নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি চলাকালে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা ও এলাকার অভিভাবকবৃন্দ কলেজ চত্বরে গিয়ে শোরগোল বাঁধিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করলে নিয়োগ পরীক্ষা প- হয়ে যায়। এ সময় নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা আজিজুল হকের ডামি প্রার্থীরা কলেজের বিশৃঙ্খল পরিবেশ দেখে কলেজ চত্বর থেকে চলে যায়। অধ্যক্ষ পদে আবেদনকারী আমিরুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থী জানান, দৌলতপুর কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে ফিরে এসেছি।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌফিকুর রহমান জানান, দৌলতপুর কলেজে নিয়োগ নিয়ে ঝামেলা আছে। একপক্ষ বলছেন নিয়ম মেনে সবকিছু হচ্ছে, অপরপক্ষ বলছেন নিয়ম না মেনে গোপনে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে দুই পক্ষ কলেজে সমবেত হলে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখা হয়। ওখানকার যে কমিটি আছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। দৌলতপুর কলেজের উপাধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমনকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনছার আলী খান জানান, আমার যাওয়ার কথা ছিল, আমি যেতে পারিনি। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।