এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে কানাডা যাওয়ার পথে জ্যাকসনভিলে সিটির সেন্ট জোন্স কাউন্টির মহাসড়ক ৯৫-এ এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী নাজিয়া হোসেন (৩২) এবং তার চার বছর বয়সী পুত্র আয়ান হক মারা গেছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির অপর ৩ যাত্রীও গুরুতর আহত হয়েছেন। ফ্লোরিডা হাইওয়ে পেট্রল পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ৩ জানুয়ারি সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী একটি গাছের সঙ্গে প্রচ- বেগে ধাক্কা খায় দুর্ঘটনা কবলিত ইনফিনিটি এফএক্স-৩৫ গাড়িটি। সেটি চালাচ্ছিলেন নাজিয়া হোসেন। হাইওয়ে পুলিশ এবং আশপাশের লোকজন জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় গাড়িটি সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে। গাড়িটি দুমড়ে যাওয়ায় দমকল বাহিনী ও এ্যাম্বুলেন্সকর্মীদের গাড়ির ভেতরে আটকাপড়া অপর ৩ জনকে বের করতে হয় গাড়ি কেটে। আহত এমদাদুল হক (৪২) এবং তার মামা শহীদ খান চৌধুরী (৩৭) ও ৩৫ বছর বয়সী মামীকে গুরুতর অবস্থায় এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে নিকটস্থ ইউএফ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পরও তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে হতাহতদের স্বজনেরা জানান। হতাহতদের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মীর্জাপুর উপজেলায়।
ভার্জিনিয়ায় সপরিবারে বসবাসরত এমদাদুল হক স্ত্রী-সন্তানসহ মামা-মামীকে নিয়ে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পামবীচে ইংরেজী নতুন বছরবরণের ছুটি কাটান। ২ জানুয়ারি তারা কানাডার অন্টারিয়র উদ্দেশ্যে যাবার সময়েই এমন দুর্ঘটনায় পতিত হন।
নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় ৪ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়ায় এমদাদ হকের কর্মস্থল ‘ডাটা গ্রুপে’র কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ডাটা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসাইন এনআরবি নিউজকে বলেন, এমদাদুল হক আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে।
দুর্ঘটনার খবরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হোসাইন এনআরবি নিউজকে জানান, নিহতদের লাশ কোথায় দাফন করা হবে, তা এখন পর্যন্ত স্থির করা সম্ভব হয়নি। তবে সকলেই ভিকটিমদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন।
