ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুধের স্বাদ ঘোলে...

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৬ জানুয়ারি ২০১৭

ঝলক

টাট্টু ঘোড়ার পিঠে চড়ে বেড়ানো অনেকেরই শখ। নিউজিল্যান্ডের কিশোরী হানাহ সিম্পসনেরও এ শখ পেয়ে বসেছিল। মেয়েটির বয়স যখন মাত্র ১১ বছর, টিভিতে ঘোড়া চালানোর রোমাঞ্চ দেখে বাবা-মায়ের কাছে আবদার তাকেও একটি টাট্টু ঘোড়া কিনে দিতে হবে। ওই ঘোড়ার পিঠে বসে ঘুরে বেড়াবে সে। কিন্তু ঘোড়া চালানোর মধ্যে ঝুঁকি রয়েছে। তাই বাবা-মা তাকে ঘোড়া কিনে দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাকে বলেন, ঘোড়া নয় তুমি বরং গরুর পিঠে চড়া শেখ। পাশেই সিম্পসনের বাবার একটা গরুর খামার ছিল। খামারে গিয়ে প্রথমেই ছয় মাস বয়সী একটি বাছুরের সঙ্গে সখ্য হয় মেয়েটির। মেয়েটি নিজেই ওই বাছুরকে লিলাক নামে ডাকতে থাকে। বাছুরের গলায় হাত বোলায়। এভাবে একদিন লিলাকের পিঠে চড়ে বসে সিম্পসন। বাছুরটি মেয়েটিকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করে। এভাবে মেয়েটির রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার শুরু। বর্তমানে সিম্পসনের বয়স ১৮ আর লিলাকের ৭। এ দীর্ঘ সময়ে লিলাককে উঁচু জায়গায় জাম্প করা শিখিয়েছে সিম্পসন। আবার কোন অসমতল জায়গা কিভাবে পার হতে হয় তাও শিখিয়েছে লিলাককে। গত সপ্তাহে লিলাকের পিঠে চড়া অবস্থায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে সিম্পসন। অল্প সময়ের মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। ব্রিটেনের ডেইলি মেইল থেকে শুরু করে নিউজিল্যান্ডের প্রথম সারির অনেক দৈনিক সিম্পসনের সাক্ষাতকার নিতে যায়। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে সিম্পসন জানায়, ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে সেদিন আমার বাবা-মা আমাকে টাট্টু ঘোড়া কিনে দেয়নি। আমি দমে যাইনি। ঘোড়ার বদলে গরু চালানো শিখেছি। গরুর পিঠে চড়েও আমি আনন্দ পাচ্ছি। আর গরু একটা শান্ত প্রাণী। বেশি লাফ দেয় না। তাই ঝুঁকি অনেক কম। তবে সম্প্রতি ঘোড়ার পিঠে চড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে সিম্পসনের। তার ভাষায়, আমি লিলাকের পিঠে চড়ে বেশি নিরাপদ বোধ করেছি। কারণ লিলাক কারণে অকারণে লাফ দেয় না। আমার সঙ্গে লিলাকের সম্পর্ক অনেক ভাল। লিলাক অনেক বিশ্বস্ত। -নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড অবলম্বনে রোগ নির্ণয়ে কাগজ! এক টুকরা কাগজ, যার দাম মাত্র এক টাকা। আর তাতেই ম্যাজিক। হ্যাঁ, ম্যাজিকই বটে। ওই পেপারে ধরা পড়ছে লিভার কিংবা হার্টের রোগ। শুধু তাই নয়, এ পেপার দিয়ে টেস্টের মাধ্যমে আরও একাধিক রোগ ধরা পড়বে। রক্তে লাইপাজ এনজাইমের উপস্থিতি রয়েছে কিনা তাও ধরা পড়বে এ টেস্টে। এমনই এক বায়োসেন্সর পেপার আবিষ্কার করেছেন বাঙালী বিজ্ঞানী উদয় মৈত্র। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ বায়োসেন্সর যাতে একটা বড় ভূমিকা নিতে পারে, সেটাই অধ্যাপক মৈত্রের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। যাতে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। বিশেষ করে যেসব প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিৎসার বিশেষ সুবিধা নেই সেখানে এ পেপার খুবই কার্যকর হবে। এমনটাই মনে করছেন অধ্যাপক উদয় মৈত্র ও তার সহযোগী টুম্পা গোরাই। ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সে এ কাগজ আবিষ্কার করেছেন তারা। খবরে বলা হয়েছে, এ বায়োসেন্সর পেপার হলো একটি ডিভাইস। এতে টিস্যু, এনজাইম ইত্যাদি ধরা পড়ে। দামে সস্তা হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বাড়বে বলে ধারণা। লাইপাজের উপস্থিতি ও পরিমাণ ধরা পড়বে এ পেপারে। লাইপাজ হলো একটি গুরুত্ব¡পূর্ণ এনজাইম, যা কোন ফ্যাটি খাবারকে ভেঙ্গে দিয়ে সহজপাচ্য করে। এ এনজাইম কম থাকলে যেমন হজমের সমস্যা হয়, একই সঙ্গে এ এনজাইম বেশি থাকলে লিভার নষ্ট করে দেয়। পেপারের রঙের পরিবর্তন দেখে এনজাইমের উপস্থিতি বোঝা যায়। -ওয়েবসাইট অবলম্বনে
×