ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্থিতিশিল পুঁজিবাজারে মূলধন বাড়ল ২২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

স্থিতিশিল পুঁজিবাজারে মূলধন বাড়ল  ২২ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এখনও কেনার মতো লোভনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে অতিমূল্যায়িত শেয়ার নেই বললেই চলে। দীর্ঘদিনের পতন শেষে এখন বেড়েছে সাধারণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সংখ্যা। দীর্ঘদিন থেকে নেই বাজারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন। সংশ্লিষ্টদের মতে, সব মিলিয়ে বাজারে এখন স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে, যার প্রভাব পড়েছে বাজার মূলধনেও। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি, বছর শেষে যাকে ইতিবাচক বলছেন সকলেই। প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা, এ পর্যন্ত যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ চলতি বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২২ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের মতে, বাজার মূলধন বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ সক্রিয় হওয়া। বছরের প্রথম থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। চলতি মাসের মোট লেনদেনে ৫৪ শতাংশের উপরে রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অবদান, যা নবেম্বরে ৫২ শতাংশ, অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে ৫৫ শতাংশ, আগস্টে ৫৪ শতাংশ, জুলাই ও জুনে ৫৬ শতাংশ, মে ও এপ্রিলে ৫৪ শতাংশ, মার্চ-জানুয়ারিতে ৫৩ শতাংশের উপরে ছিল। বছর শেষে যার প্রভাব পড়েছে বাজার মূলধনে। এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বছরের শুরু থেকেই পুঁজিবাজার মোটামুটি স্থিতিশিল ছিল। সেই সঙ্গে সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও ছিল সন্তোষজনক। যে কারণে বছর শেষে পুঁজিবাজারের একটি ইতিবাচক চিত্র দেখা যাচ্ছে। একই প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা একটি স্থিতিশিল বাজার দেখতে পাচ্ছি। এটা ভাল লক্ষণ। তাছাড়া বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে অস্বাভাবিক উত্থান বা পতন দেখা যাচ্ছে না, যার ফলে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এদিকে বাজার মূলধন বাড়ার আরেকটি কারণ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ সক্রিয় থাকা। চলতি বছরে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেন এবং ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবধান উভয়ই বেড়েছে। চলতি বছরের নবেম্বর পর্যন্ত বিদেশী বিনিয়োগকারীদের লেনদেন আগের বছরের তুলনায় ১ হাজার ২৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ১৫ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের ১১ মাসে ডিএসইতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ৭ হাজার ৭৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন করেছেন, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬ হাজার ৭৭২ কোটি ২১ লাখ টাকা। তাছাড়া চলতি বছর বিদেশীরা বিক্রয়ের চেয়ে বেশি পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করেছেন। এ বছর এ সময় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট ক্রয় এবং ৩ হাজার ৪২১ কোটি ২ লাখ টাকার বিক্রয় করেন।
×