ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তানিয়া আহমেদের চলচ্চিত্র ‘ভালবাসা এমনই হয়’

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

তানিয়া আহমেদের চলচ্চিত্র ‘ভালবাসা এমনই হয়’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল তানিয়া আহমেদ। মাঝেমধ্যে নাটক ডিরেকশন দিতেও দেখা গেছে তাকে। তবে মিডিয়ায় কাজের অভিজ্ঞতায় প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতা। প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। নাম ‘ভালবাসা এমনই হয়’। লন্ডনে চিত্রায়িত ও নির্মিত এ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড। চলচ্চিত্রের কাহিনী ও সংলাপ রায়হান খান। চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন তানিয়া আহমেদ। চিত্রগ্রহণ করেছেন রায়হান খান ও হাবিবুল মঞ্জির। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেনÑ বিদ্যা সিনহা মীম, সাজ্জাদ, মীর সাব্বির, তানজিকা আমিন, মিশু সাব্বির, রবার্ট ইয়ং, সোহেল খান, তারিক আনাম খান প্রমুখ। চলচ্চিত্রের আবহ সঙ্গীত এসআই টুটুল। সঙ্গীত পরিচালনা ও কম্পোজিশন এসআই টুটুল, হাবিব ওয়াহিদ এবং জে কে। গান লিখেছেন গীতিকার এসআই টুটুল, লতিফুল ইসলাম শিবলী, জাহিদ আকবর, ফারুক হোসেন ও সুুদ্বীপ। কণ্ঠ দিয়েছেন এসআই টুটুল, কনা, জে কে, মমো ও নওমি। সম্পাদনা এমএইচ সোহেল। সাউন্ড মাস্টারিং আজম বাবু। নৃত্য পরিচালনায় তানিয়া আহমেদ, মীম ও মেহরাজ হক তুষার। আগামী বছরের জানুয়ারিতে চলচ্চিত্র মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যাবে ইমতিয়াজ ঐশির চাচা, যিনি ঐশির ৩ মাস বয়সে ঐশির বাবা-মাকে হত্যা করে ঐশিদের ধনসম্পদের লোভে। ঐশি ইমতিয়াজকেই তার বাবা বলে জানে। ইমতিয়াজ সাহেব একজন বড় ব্যবসায়ী। ঐশির যখন ৬ মাস বয়স তখন ইমতিয়াজ সাহেব ব্যবসার প্রয়োজনে লন্ডন চলে যায় এবং সেখানেই সেটেল্টড হয়। সঙ্গে ঐশিকেও নিয়ে যায়। ঐশি লন্ডনেই বড় হয়। সাজ্জাদ চাকরির সন্ধানে লন্ডন যায় এবং সেখানেই চাকরি করে। লন্ডনে ঐশির সঙ্গে সাজ্জাদরে পরিচয় হয় এবং প্রেম হয়, অতঃপর বিয়ে করে তারা দুজন। বিয়ের কিছুদিন পর ঐশি একটা রোড এ্যাক্সিডেন্টে মারাত্মক আঘাত পায়। হাসপাতালে যখন জ্ঞান ফেরে তখন ঐশি পুরনো স্মৃতি সব ভুলে যায়, আগের কোনকিছুই আর মনে পড়ে না। এমনকি তার স্বামী সাজ্জাদের কথাও না। এদিকে ইমতিয়াজ সাজ্জাদকে মেনে নেয় না। সাজ্জাদকে হুমকি দেয়, যদি সে ঐশিকে পেতে চায় তাহলে তাকে হত্যা করা হবে। সাজ্জাদ ঐশিকে ফিরে পেতে নানান ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। কিন্তু যখন সে ব্যর্থ হয় তখন সে বুঝতে পারে যে, একা ইমতিয়াজের সঙ্গে লড়াই করে সে ঐশিকে পাবে না। তাই সে সঙ্গী খুঁজতে থাকে, যাদের সঙ্গে নিয়ে সে লড়াই করে ঐশিকে ফিরিয়ে আনতে পারবে। তখন পরিচয় হয় মাহতাব ও মিশু নামের দুই যুবকের সঙ্গে, যারা বাংলাদেশী এবং তারা বাংলাদেশ পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। মাহতাব ও মিশু বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে থাকা মিথিলা নামের একজনকে খুঁজে বের করে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে লন্ডন যায়। মিথিলা বাংলাদেশী মেয়ে, যে একজন নামকরা র‌্যাম্প মডেল। এক অনুষ্ঠানে আমজাদ নামের এক মধ্যবয়সী লোক যিনি বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তিনি মিথিলাকে দেখে পছন্দ করে খারাপ প্রস্তাব করেন টাকার বিনিময়ে।
×