ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদকে রাজাকারপুত্র বললেন মুক্তিযোদ্ধারা

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদকে রাজাকারপুত্র বললেন মুক্তিযোদ্ধারা

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ২২ ডিসেম্বর ॥ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে জামালপুর জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ‘একজন কুখ্যাত রাজাকারপুত্র’ এ্যাডভোকেট এইচ আর জাহিদ আনোয়ারকে মনোনয়ন দেয়ায় জেলার মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জামালপুর জেলা ইউনিটের কমান্ডার সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুল ইসলাম খোকা বৃহস্পতিবার দুপুরে সংসদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রার্থী এইচ আর জাহিদ আনোয়ারকে বয়কট করে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের অপর প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীকে নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বুধবার প্রার্থী এইচ আর জাহিদ আনোয়ার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম খোকা প্রসঙ্গে আপত্তিকর ও বানোয়াট মন্তব্য করার জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মোঃ শফিকুল ইসলাম খোকা সংবাদ সম্মেলনে লেখক মুনতাসীর মামুনের ‘মুক্তিযুদ্ধের ছিন্ন দলিলপত্র’ বই থেকে উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৭১ সালের তদানীন্তন জামালপুর মহকুমা শহরের গঠিত শান্তি কমিটির কুখ্যাত ১৩ জনের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এইচ আর জাহিদ আনোয়ারের বাবা কাজেম উদ্দিন আহাম্মেদ। মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর পক্ষ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে রাজাকার বাহিনীর সংগঠকও ছিলেন কাজেম উদ্দিন। ব্যক্তিগত জীবনে এইচ আর জাহিদ আনোয়ার কোন দিনও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্পৃক্ত ছিলেন না। ১৯৭১ সালে এইচ আর জাহিদ আনোয়ার একজন শিক্ষিত তরুণ হয়েও মুক্তিযুদ্ধে তার কোন ভূমিকা ছিল না। এতেই প্রমাণিত হয় যে, বাবার পদাঙ্ক অনুসরণকারী হিসেবে বাবার স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকাকে আড়াল করার জন্য এবং রাজনৈতিকভাবে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এইচ আর জাহিদ আনোয়ার আওয়ামী লীগে আশ্রয় নিয়েছেন। সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে অগ্রিম বুকিং ॥ খালি নেই হোটেল মোটেল স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন-নৌরুটে চলাচলকারী সকল জাহাজের টিকেট আজ শুক্রবার থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। সেখানে হোটেল-কটেজেও কক্ষ খালি নেই। সেন্টমার্টিনের হোটেল মালিক ও জাহাজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কেয়ারী সিন্দাবাদের ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ২৩ ডিসেম্বর থেকে নতুন টিকেটের জন্য ভ্রমণ পিপাসুদের অহরহ অনুরোধ আসছে। তবে আমাদের জাহাজে কোন জায়গা নেই। টিকেটের বাইরে পর্যটকের আবদার রক্ষা করা কোনভাবে সম্ভব হচ্ছে না। সাপ্তাহিক ছুটিসহ বড় দিনকে ঘিরে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে চার শতাধিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস ও রিসোর্টগুলোর সব রুম বুকিং হয়েছে। হোটেল শৈবালের ম্যানেজার শ্রীজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ ও রিসোর্টগুলো শতভাগ বুকিং হওয়ায় এবার ব্যবসায়ীরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে। ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন রায়হান কাজেমী জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
×