ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চর এখন ফসলের মাঠ

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

চর এখন ফসলের মাঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৮ ডিসেম্বর ॥ তিস্তা ও ধরলা নদীর ধূ ধূ বালুচর এখন সবজি ক্ষেতে ভরে গেছে। বছরের ৯ মাস নানা জাতের কৃষি শস্যের ফলন ফলছে। সবজিসহ নতুন নতুন কৃষি ফসল চাষের মাধ্যমে চরের মানুষ সচ্ছলতা এনেছে। সরকারী সাহায্য চাওয়ার হাত কৃষিনির্ভর কর্মীর হাতে পরিণত হয়েছে। চরের কৃষি নির্ভর অর্থনীতি মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে গেছে। তথাকথিত মঙ্গা নামের দুর্ভিক্ষ হয়েছে চিরতরে বিতাড়িত। কয়েক বছর আগে চরের কথা শুনলেই ধূ ধূ বালুর প্রান্তর বুঝাত। নদীচর যেন, খ- খ- মরুভূমি। বর্ষায থাকত অথৈ পানিতে নির্মজ্জিত। বালু আর পানির খেলায় চরের মানুষ হাবুডুবু খেত। চরাঞ্চলে দারিদ্র্য জেঁকে বসে। চরে দেখা যেত অপুষ্টিতে আক্রান্ত জীর্ণ মানুষ, কিশোর, কিশোরী ও শিশুদের। চর বলতে বুঝাত কংকালসার মানুষের মিছিল। চরের মানুষ ছিল নিগৃহীত। এখন এই চিত্র পাল্টে গেছে। তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান, রতœাই, গিদারী নদীর চর একেকটি কৃষি শস্য উৎপাদনের ভা-ারে পরিণত হয়েছে। বছরের ৯ মাস খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়। এখন খাদ্যশস্যের পাশাপাশি সবজি চাষ ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশাল বিশাল বালুকাময় চরের যেদিকে চোখ যায়। শুধু সবুজে ঘেরা ফসলের মাঠ চোখে পড়বে। ফসলের মাঠ দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে। কে বলবে? এটা বালুময় চর। কে বলবে? কয়েক মাস আগে এখানে অথৈ জল ছিল। ফসলে মাঠ নদীকে গ্রাস করে খেয়েছে। কোথাও কোথাও চরে বিদ্যুত পৌঁছে গেছে। যেখানে বিদ্যুত নেই। সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে আলোকিত হয়েছে।
×