ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধ উৎসবে বাহাত্তরের রুশ নৌ সেনাদের স্মরণ

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬

মুক্তিযুদ্ধ উৎসবে বাহাত্তরের রুশ নৌ সেনাদের স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযুদ্ধ উৎসব শিরোনামের আয়োজনে স্মরণ করা হলো স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের বন্ধু রুশ নৌ-সেনাদের। ১৯৭২ সালে বঙ্গোপসাগরে ‘ডিমাইনিং এ্যান্ড রেসকিউ’ অপারেশনে অংশগ্রহণকারী রুশ নৌ-সেনাদের সম্মাননা জানাল মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানান হয়েছে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদেরও। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রে ‘মুক্তিযুদ্ধ উৎসব’ শিরোনামের আয়োজনের সহআয়োজক ছিল রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র, সাউথ এশিয়ান মিউজিক ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট। সংবর্ধনা-সম্মাননা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছিল ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক এ্যালবামের প্রকাশনা উৎসব। ‘ডিমাইনিং এ্যান্ড রেসকিউ’ অপারেশনের নানা মুহূর্ত আর বীর সেনাদের ছবি নিয়ে ছিল আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্বোধনী সংগীত ও বিজয়ের গান পরিবেশনায় শুরু হয় এ উৎসব। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশের প্রথম তথ্য কমিশনার কবি আজিজুর রহমান আজিজ, ঢাকায় রুশ ফেডারেশন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ই ইগ্নাতভ, রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক আলেক্সান্ডার পে. দেওমিন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল হক, সাউথ এশিয়ান মিউজিক ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান শরীফ আশরাফউজ্জামান। পাক সেনাদের পুঁতে রাখা মাইন অপসারণে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ছিলেন একদল রুশ সেনা। খুলনার চালনা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর অবধি বঙ্গোপসাগরকে ঝুঁকিমুক্ত করতে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন সেনা পাঠায় বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশে। দু’বছর ধরে চলা সমুদ্রপথে অভিযানে তারা উদ্ধার করে যুদ্ধ জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মাইন। ‘ডিমাইনিং এ্যান্ড রেসকিউ’ অপারেশনে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ হারান ৮৫০ রুশ সেনা ও প্রকৌশলী।
×