ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চবি ছাত্রলীগ কর্মী তাপস হত্যার বিচার দুই বছরেও শুরু হয়নি

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

চবি ছাত্রলীগ কর্মী তাপস হত্যার বিচার দুই বছরেও শুরু হয়নি

রহমান শোয়েব, চবি ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী তাপস হত্যাকা- এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতাতেই সীমাবদ্ধ। হত্যাকা-ের পর ১৪ ডিসেম্বর পূর্ণ হলো দুই বছর। অথচ এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি অপরাধীদের বিচার। চলতি বছর ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল হয়েছে। অন্যদিক চবি ছাত্রলীগের একটি অংশ প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর তাপস স্মরণে আয়োজন করে নানা অনুষ্ঠান। বুধবারও আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনা ও মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচীর। এটুকুতেই আটকে গেছে তাপস হত্যাকা-ের বিচারের দাবিটি। ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার। এরপর হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তাপসের সহপাঠী হাফিজুল ইসলাম। এতে ৩০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত করে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় হাটহাজারী থানার উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমানকে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি পুলিশসহ ৩২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে চলতি বছরের ২ মে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে চবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশার কাছে থাকা অবৈধ পিস্তলেই তাপস খুন হন বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মী রুবেল দে, শাহরিদ শুভ, প্রদীপ চক্রবর্তীকে দ-বিধির ৩০৭ ধারায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। ৫ থেকে ২৮ নম্বর পর্যন্ত অভিযুক্তদের ১৪৩ ও ৩২৩ ধারায় সাধারণভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ২৯ নম্বর আসামি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেনকে হুকুমের আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় অভিযোগপত্রে। অভিযোগপত্র দায়েরের পর ৭ মাস পার হলেও মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হয়নি। আসামিরাও কেউ জামিনে এবং কেউ পলাতক রয়েছেন। মূল আসামি আশা ঘটনার পর থেকেই রয়েছে পলাতক। হত্যাকা-ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকভাবেও হয়নি কারো বিচার।
×