ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লিভারপুলের হোঁচট, অবশেষে জয় ম্যানইউর

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬

লিভারপুলের হোঁচট, অবশেষে জয় ম্যানইউর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে ঘরের মাঠে হোঁচট খেয়েছে লিভারপুল। রবিবার রাতে এ্যানফিল্ডে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে দ্য রেডসরা। অন্যদিকে হ্যাটট্রিক ড্রয়ের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। হেনরিখ মাখিটারিয়ানের একমাত্র গোলে রেড ডেভিলসরা হারিয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পারকে। আরেক ম্যাচে দিয়াগো কোস্টার লক্ষ্যভেদে ওয়েস্টব্রুমউইচ এ্যালবিওনকে ১-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে চেলসি। এবার ইপিএলে নতুন কোচ ব্রেন্ডন রজার্সের অধীনে দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলে লিভারপুল। এখন শিরোপার স্বপ্নও বুনছে দলটি। কিন্তু অবনমন অঞ্চলে থাকা ওয়েস্টহ্যামের সঙ্গে ড্র করে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে দ্য রেডসরা। এ্যানফিল্ডে লিভারপুল শুরুতে এ্যাডাম লালানার গোলে এগিয়ে যায়। দিমিট্টি পায়েটের নৈপুণ্যে সমতায় ফেরার পর কিছুক্ষণ পর এ্যান্টোনিওর গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় ওয়েস্টহ্যাম। দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ডিভক অরিজি। এর ফলে লীগে টানা দুই ম্যাচ জয়শূন্য থাকল লিভারপুল। গত সপ্তাহে বোর্নমাউথের মাঠ থেকে ৪-৩ গোলে হেরে ফিরেছিল তারা। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে গোল করে স্বাগতিক লিভারপুলকে এগিয়ে নেন লালানা। বামপ্রান্ত থেকে সাডিও মানের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বা পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করে ইংলিশ মিডফিল্ডার। স্বাগতিকদের শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১২ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে এগিয়ে যায় অতিথি ওয়েস্টহ্যাম। ২৭ মিনিটে দারুণ ফ্রিকিকে দলকে সমতায় ফেরান পায়েট। এরপর ৩৯ মিনিটে এ্যান্টোনিও গোল করে এগিয়ে নেন ওয়েস্টহ্যামকে। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নামা লিভারপুল ৪৮ মিনিটে সমতাসূচক গোল পায়। এক জনকে কাটিয়ে সেনেগালের মিডফিল্ডার মানের বাড়ানো ক্রস থেকে আলতো টোকায় বল জালে জড়ান বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড অরিজি। এই ড্রয়ের ১৫ ম্যাচ শেষে তৃতীয় স্থানে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট হলো ৩১। আর মূল্যবান ১ পয়েন্টে অবনমন অঞ্চল থেকে বেরিয়ে এসেছে ওয়েস্টহ্যাম, তাদের পয়েন্ট ১৩। অবস্থান ১৭তম। সমান ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চেলসি। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে ম্যানইউ। ওয়েস্টব্রুমকে হারিয়ে নয় ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছে চেলসি। ২০০৭ সালের লীগেও চেলসি টানা নয়টি ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছিল। লন্ডনের স্টামফোার্ড ব্রিজে জয়টা অবশ্য সহজে হয়নি চেলসির। স্বাগতিকদের জন্য কাজটা কঠিন করে দেয় অতিথি ওয়েস্টব্রুম। ম্যাচ শেষের ১৪ মিনিট আগে কোস্টা স্বস্তিদায়ক গোল করলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে স্বাগতিক সমর্থকরা। টানা নয় ম্যাচে জয় তুলে নেয়ায় খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়েছেন চেলসি কোচ এ্যান্টোনিও কন্টে। অসম্ভব কঠিন একটি লীগে এই নয় ম্যাচে ২৩টি গোল করে মাত্র দুটি গোল হজম করাটা সহজ কাজ নয়। ঘাম ঝরানো জয় হলেও খুশি চেলসি কোচ কন্টে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, আমি দারুণ খুশি। আমরা প্রতিদিনই কঠিন দলের মুখোমুখি হচ্ছি। তারা শারীরিকভাবেও শক্তিশালী, যে কারণে সহজে তাদের ভাঙ্গা সম্ভব নয়। আমরা সঠিক পথে থেকে দারুণ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। যদিও কাজটা মোটেও সহজ নয়। কিন্তু আমার খেলোয়াড়রা জয়ের অদম্য ইচ্ছা নিয়েই মাঠে নামে। ঘরের মাঠ ওল্ডট্রফোর্ডে স্পারসদের বিরুদ্ধে ইউনাইটেডের ম্যাচটা আরও কঠিন ছিল। যদিও পল পোগবার শট পোস্টে না লাগলে ইউনাইটেড হয়ত ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত। দ্বিতীয়ার্ধে টটেনহ্যামের ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক হুগো লরিস দুর্দান্ত দক্ষতায় কয়েকটি বল আটকে স্বাগতিকদের হতাশ করেন। সফরকারীরাও অবশ্য কেনিয়ান মিডফিল্ডার ভিক্টর ওয়ানইয়ামা হেডে সমতা ফেরাতে পারত। তবে ম্যাচের ২৯ মিনিটে হেনরিখ মাখিটারিয়ান যে গোলটি করেন তাতেই শেষ পর্যন্ত তিন ম্যাচ পর জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেয় ইপিএলের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচ শেষে দলটির তারকা কোচ জোশে মরিনহো বলেন, জানি আমাদের সময়টা ভাল যাচ্ছে না। তবে এই জয়টাও গুরুত্বপূর্ণ।
×