ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাইজিরিয়ায় বিশপের অভিষেক অনুষ্ঠানে গির্জার ছাদ ধসে নিহত ৬০

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬

নাইজিরিয়ায় বিশপের  অভিষেক অনুষ্ঠানে  গির্জার ছাদ ধসে  নিহত ৬০

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নাইজিরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উয়ো নগরীতে একটি গির্জার ছাদ ধসে পড়ার পর সেখানে অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাতে এ খবর লেখার সময় পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এদিকে ইউনিভার্সিটি অব উইও টিচিং হাসপাতালের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ খবর দিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ১৬০ জন। অন্যদিকে একইদিন দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আদামাওয়ার মাদাগালি শহরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছে। খবর বিবিসি/ইয়াহু নিউজের। সূত্র জানায়, এদিন একজন চার্চ বিশপের অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রচুর মানুষ গির্জার ভেতরে জড়ো হয়েছিল। হঠাৎ করেই ছাদসহ গির্জার ওপরের অংশ ধসে পড়ে। রেইনার্স বাইবেল গির্জায় দুর্ঘটনার সময় রাজ্যের গবর্নর ইউদোম ইমানুয়েলও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দুর্ঘটনায় তিনিও সামান্য আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে বলেছেন, গির্জাটির সংস্কার কাজ চলছিল। বিশপের অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য শ্রমিকরা দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করতে চাচ্ছিল। তবে তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে কাজের মান খারাপ হয়েছিল কিনা এমন অভিযোগের সত্যতা যথাযথ তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়ছেন গবর্নর ইমানুয়েল। দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, ‘হঠাৎ করে প্রার্থনা করতে আসা মানুষদের ওপর গির্জার ছাদ ভেঙ্গে পড়লে গবর্নকে দ্রুত জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু অন্য অনেকেই তার মতো এতটা ভাগ্যবান ছিলেন না।’ এ ঘটনায় নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারী ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন। দুই নারী জঙ্গীর আত্মঘাতী বোমায় হত ৪৫ ॥ এদিকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আদামাওয়ার মাদাগালি শহরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছে। দুই নারী আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তারা স্থানীয় একটি ব্যস্ত বাজারে গিয়ে তাদের শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় বলে একজন সামরিক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে রাতে এ খবর লেখার সময় পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী এই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেনি। খবর অনলাইন ও বিবিসির। স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা ইউসুফ মুহাম্মাদ বলেন, দুই বোমা হামলাকারী বাজারের শস্য ও পুরনো জামা-কাপড় বিক্রির অংশে গিয়ে তাদের শরীরে বেঁধে রাখা আত্মঘাতী বেল্ট-বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ২০১৫ সালে মাদাগালি শহরটি বোকো হারাম জঙ্গীদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়।
×