ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাসপাতাল থেকে তুলে এনে ছাত্রীকে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬

হাসপাতাল থেকে তুলে  এনে ছাত্রীকে গণধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ এক দুইজন নয় সাত পাহারাদার দায়িত্ব পালন করছে। অথচ মুমূর্ষু মাকে দেখতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। সন্ত্রাসী লম্পট গিয়াসকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সাত নাইট গার্ড (আনসার) হাসপাতালের নিরাপত্তায় পাহারায় ছিল। তাদের সম্মুখে অস্ত্র উঁচিয়ে দু’তলা থেকে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে (১৪) তুলে নিয়ে সর্বনাশ করার বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারছে না কেউ। এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে সর্বত্র। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটে এ ঘটনা। বুধবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে পুলিশ। জানা যায়, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন জালিয়াপালং পূর্ব সোনারপাড়ার কলিম উল্লাহর স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম। মা’র সেবার জন্য তার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে রেখে বাবা কলিম উল্লাহ বাড়ি চলে যান। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে বাথরুমে যাওয়ার সময় করিডোরে ওই ছাত্রীকে জাপটে ধরে সন্ত্রাসীরা। মেয়েটি চিৎকার দিতে চাইলে মুখ চেপে ধরে অস্ত্রের মুখে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় পাহারায় থাকা আনসার ভিডিপি সদস্যরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। ঘটনা জেনে হাসপাতালের রোগীরা চেঁচামেচি করলে নাইট গার্ডরা হাসপাতালের উত্তর পাশে বাউন্ডারি দেয়াল সংলগ্ন জঙ্গল থেকে রাত ১টার পর বিবস্ত্র অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। কলিম উল্লাহ বলেন, সরকারী হাসপাতালে নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও সন্ত্রাসীরা হাসপাতালের ২য় তলায় উঠে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। চিহ্নিত ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আদৌ বিচার পাব কিনা জানি না। কেননা সন্ত্রাসীরা সকালে হাসপাতালের বেডে এসে এ ঘটনায় বাড়াবাড়ি করলে শেষ করে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে যাওয়ার পর মেয়েকে এবং পুরোপুরি সুস্থ না হলেও তাদের ভয়ে স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে আসি।
×