ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ॥ সমাবর্তনে প্রাণের উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৪ ডিসেম্বর ২০১৬

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ॥ সমাবর্তনে প্রাণের উচ্ছ্বাস

সম্প্রতি বসুন্ধরা সিটির আন্তর্জাতিক কনভেশনের রাজদর্শন হলে (কুড়িল বিশ্বরোডে) অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৪র্থ সমাবর্তন। ওইদিন সকালে সদ্য উত্তীর্ণ গ্রাজুয়েটদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে কনভেনশন হলের বিশাল প্রাঙ্গণ। তাদের পরনে ছিল সমাবর্তনের কালো গাউন ও ক্যাপ। হলের সামনে বিশাল চত্বরে কেউ সেলফি কেউবা আবার গ্রুপ ছবি তুলে স্মৃতিকে আগলে রাখার চেষ্টা করেন। হ্যাঁ, ওইদিন জীবনকে স্মৃতিময় করে তোলার ক্ষেত্র বটে। অধ্যায়ন শেষে সবাইকে তো কর্মময় জীবনে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সাংসারিক জীবন। তখন আর বন্ধুদের সান্নিধ্য নেয়া বা দেয়া সম্ভব হবে না। কারণ, জীবন তখন ব্যস্ত ও কঠিন হয়ে পড়ে। তখন স্মৃতিই ভরসা। হলের প্রবেশ মুখে শিক্ষার্থীদের অভ্যর্থনা জানান ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. শহীদুল কাদির পাটোয়ারী ও ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এরপর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যামিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান। সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে আপনাদের ভূমিকা বেশি থাকবে। আর আপনাদের মাধ্যমে দেশ একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’ সমাবর্তন বক্তা এ্যামিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে হলে জিজ্ঞাসা জরুরী। শিক্ষা ব্যবস্থায়, সমাজ ধারায় এই জিজ্ঞাসার জায়গা থাকতে হবে। না হলে অধম হয়েই থাকব, উত্তম হতে পারব না। জগতের জ্ঞানের ভা-ার থেকে আমরা কেবলই নেব সেখানে আমাদের দেয়ার কিছু থাকবে না? আজ যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হচ্ছে তাদের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। দেখতে হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় যেন নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে সফল হয়।’ স্বাগত বক্তব্যে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. শহীদুল কাদির পাটোয়ারী বলেন, ‘জ্ঞানই শক্তি’ আমরা এই আদর্শকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসরাফিল আলম এমপি। তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তদের জন্য ১৯৯৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাই এখানে টিউশন ফি তুলনামূলক কম। ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কে এম মোহসীন বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এবিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী মহান আদর্শ নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার আদর্শকে অনুসরণ করে এসব পরিচালিত হয়ে আসছে। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, উচ্চশিক্ষা দানের ক্ষেত্রে যে প্রতিশ্রুতি থাকে, তা আমরা পালন করে আসছি। সমাবর্তন আরও উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, কোয়ালিটি এসুরেন্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান প্রমুখ। সমাবর্তনে ৪জনকে চ্যান্সেলর এ্যাওয়ার্ড, ৭জনকে ভাইস চ্যান্সলর এ্যাওয়ার্ড ও ৩জনকে ডিন এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। পরিশেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
×