স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারি উন্নয়ন কাজ পর্যবেক্ষণে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে নাগরিকদের সরাসরি যুক্ত করা হবে। এজন্য সরকারী কেনাকাটা (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট) ও প্রকল্প বাস্তবায়নে নাগরিকদের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে দিয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, কাজের মান এবং অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার ও অপচয় রোধ হবে বলে আশ করা হচ্ছে। তবে তদারকির কাজে যুক্ত নাগরিক প্রতিনিধিদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার অভাব থাকলে নাগরিকদের যুক্ত করার উদ্যোগটি ব্যর্থ হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে ‘সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।
আইএমইডি সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এমপি। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম ও বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. সুলতান হাফিজ রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিটিইউ মহাপরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন।
সেমিনারে সিরাজগঞ্জ ও রংপুর জেলার চার উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন ১০ প্রকল্পের সরকারী কেনাকাটা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করা বিষয়ক পাইলট কর্মসূচির প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। বিআইজিডির কর্মকর্তা ড. মির্জা হাসান এ বিষয়ে মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। এছাড়া সেমিনারে প্রকিউরমেন্টে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে নাগরিকদের আরও কার্যকর অংশগ্রহণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, গবেষক, বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী, দাতা সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের পরামর্শ নেয়া হয়।
