ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাশরাফির কুমিল্লার টানা দুই জয়

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১ ডিসেম্বর ২০১৬

মাশরাফির কুমিল্লার টানা দুই জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোনভাবেই জয় ধরা দিচ্ছিল না। ৮ ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছিল। যখন জয় পাওয়া শুরু হলো, টানা দুই ম্যাচে জিতে গেল মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বুধবার রাতে রাজশাহী কিংসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টানা দুই জয় তুলে নিল কুমিল্লা। সেই সঙ্গে সেরা চারে খেলার সম্ভাবনার প্রদীপও জ্বলে রইল। প্রথমবারের মতো পয়েন্ট তালিকায় সর্বনিম্ন স্থান থেকে ষষ্ঠ স্থানেও উঠল। টস জিতে রাজশাহী আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জেমস ফ্রাঙ্কলিনের অপরাজিত ৪৪ ও ওপেনার মুমিনুল হকের ২০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১২৪ রান করে রাজশাহী। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন তিনটি উইকেট নেন। জবাবে মারলন স্যামুয়েলসের অপরাজিত ৫৫ ও আহমেদ শেহজাদের ৪৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮.৪ ওভারে ১২৫ রান করে জিতে যায় কুমিল্লা। রাজশাহী যে রান করে তা অতিক্রম করে জয় তুলে নিতে পারবে কুমিল্লাÑএ প্রশ্ন উঠে যায়। কারণ, দলটি যে এবার টুর্নামেন্টে সবচেয়ে খারাপ খেলছে। ১৬ রানেই ইমরুল কায়েসকে হারিয়ে বিপদেও পড়ে যায় কুমিল্লা। সেই বিপদ থেকে পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস দলকে শুধু রক্ষাই করেননি, জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। জিততে যখন ২৯ বলে ১৯ রান লাগে, এমন সময়ে গিয়ে শেহজাদ (৪৬) আউট হয়ে যান। তবে সাজঘরে ফেরার আগেই দলকে ১০৬ রানে রেখে যান। স্যামুয়েলসকে নিয়ে ৯০ রানের বড় জুটিও গড়েন। শেষ পর্যন্ত আর কোন উইকেট না হারিয়ে স্যামুয়েলস (৪১ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৫৫ রান) ও খালিদ লতিফই (৭*) ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। কুমিল্লার মতো কঠিন শুরু হয়নি রাজশাহীর। তবে শেষ পর্যন্ত সেই শুরুর ঝলক ধরে রাখতে পারেনি দলটি। শুরুতে দুই ওপেনার মুমিনুল হক ও নুরুল হাসান সোহান মিলে ভালই এগিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু যেই ৩৮ রানের সময় মুমিনুল (২০) আউট হয়ে যান, রাজশাহীর ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন ঘটে। দেখতে দেখতে ৭৮ রানেই ৭ উইকেটের পতন ঘটে যায়। ১৫ ওভারও শেষ হয়ে যায়। এমন অবস্থা থেকে রাজশাহী আর কতদূরই বা যেতে পারবে। ১০০ থেকে ১১০ রানই করবে। কিন্তু অষ্টম উইকেটেই সব বদলে যায়। নিউজিল্যান্ডের জেমস ফ্রাঙ্কলিন ও আবুল হাসান রাজু মিলে সব ধারণা পাল্টে দেন। ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিও গড়েন। রাজু শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে অপরাজিত ৪ রান করেন। তবে ফ্রাঙ্কলিনকে সঙ্গ দিয়ে যান। আউট হন না। শেষ ওভারেই দ্রুত স্কোরবোর্ডে রান যোগ হয়ে যায়। ১৯ ওভারেও ১০০ রান ছিল। সেখান থেকে এক ওভারেই ১২৪ রান হয়ে যায়। ২০তম ওভারে বল করতে আসেন শাহাদাত হোসেন রাজিব। ফ্রাঙ্কলিন ৫ বল খেলেন। তিন ছক্কা ও দুটি চার হাঁকান। ২৩ রান একাই নেন। আরেকটি রান আসে অতিরিক্ত। শেষ ওভারেই ফ্রাঙ্কলিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৪ রান আসে। তাতেই রাজশাহী স্কোরবোর্ড মজবুত করে তোলে। কিন্তু এতটাও মজবুত হয়নি যে জেতা যায়। তাই জিততেও পারল না রাজশাহী। টানা চার ম্যাচ জিতে হারল রাজশাহী। কুমিল্লা টানা দুই জয় তুলে নিল। স্কোর ॥ রাজশাহী কিংস-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচ- টস ॥ রাজশাহী (ব্যাটিং)। রাজশাহী ইনিংস ১২৪/৭; ২০ ওভার (মুমিনুল ২০, সোহান ১৭, সাব্বির ৮, প্যাটেল ৪, মিরাজ ৭, ফ্রাঙ্কলিন ৪৪*, সামি ০, রেজা ১৩, রাজু ৪*; সাইফুদ্দিন ৩/১২, মাশরাফি ২/২৪)। কুমিল্লা ইনিংস ১৪৫/২; ১৮.৪ ওভার (ইমরুল ৯, শেহজাদ ৪৬, স্যামুয়েলস ৫৫*, খালিদ ৭*)। ফল ॥ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা সাইফুদ্দিন (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।
×