ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীকে স্মরণ

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীকে স্মরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৭ নবেম্বর ॥ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সন্তোষে নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ঢল নামে হাজারো মানুষের। তারা তাদের প্রিয় নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনায় সমাধি প্রাঙ্গণে মোমবাতি-আগরবাতি জ্বালিয়ে সারারাত দোয়া ও মোনাজাত করেন। রাত থেকেই ভাসানীর ভক্ত-মুরিদানদের আপ্যায়ন করা হয়। সকালে ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণ। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ভাসানীর পরিবারসহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, যুগ্ম সম্পাদক নাহার আহমেদ, শাজাহান আনসারী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ও সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরণ, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শামছুজ্জামান দুদু প্রমুখ মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। ছেলেসহ আটক তিন রাজশাহীতে বিএনপি নেতার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের মহাজট স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নিজ বাড়িতে পিস্তলের গুলিতে বিএনপি নেতা ও ঠিকাদার খন্দকার মাইনুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের মহাজট বেঁধেছে। বিশাল অঙ্কের ঋণের বোঝা মাথা নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, এমন দাবিতে অনড় তার পরিবার। তবে ঘটনাস্থলের আলামত ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ধরন নিয়ে পরিবারের সঙ্গে একমত হতে পারছে না পুলিশ। এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত হতে মাইনুল ইসলামের ছেলে হেদায়েদুল ইসলাম, শ্যালক শাহীন আলম ও বাড়ির এক কর্মচারীকে আটক করে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নগরীর বোয়ালিয়া থানায় রেখে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ জানায়, মাইনুল ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি জানা যাবে। নিহত ব্যক্তির ছেলেসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের দেয়া তথ্যগুলোও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে তাদের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। রাজশাহী মহানগরীর হোসনীগঞ্জ এলাকায় ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনের দোতলা বাড়িটিই খন্দকার মাইনুল ইসলামের। বাড়িটিতে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। সড়ক থেকে বাড়ির ভবন প্রায় ১০০ গজ দূরে। পুরো সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। বাড়ির সামনে দৃষ্টিনন্দন নানা গাছ ও ফুলের বাগান। বাড়ির বাইরে এক কোণে বসার জন্য একটি ঘর রয়েছে। ওই ঘরেই গুলিবিদ্ধ হন মাইনুল ইসলাম।
×