ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডাঃ এম আর খানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আজ দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১১ নভেম্বর ২০১৬

ডাঃ এম আর খানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আজ দোয়া মাহফিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে শিশু রোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ও জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ এম আর খানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আজ শুক্রবার। বাদ আছর রাজধানীর ধানম-ি ৭ নম্বর রোডের মসজিদে দোয়া মাহফিলে সকলকে অংশগ্রহণের জন্য মরহুমের পরিবারের পক্ষে অনুরোধ জানানো হয়েছে। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সাতক্ষীরার রসুলপুর গ্রামে পারিবারিক গোরস্তানে এম আর খানকে দাফন করা হয়। গত ৫ নবেম্বর বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে মারা যান ডাঃ এম আর খান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানান জটিল রোগে কয়েক মাস ধরে ভুগছিলেন। তিনি ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎ?সাধীন ছিলেন। তিনি একমাত্র মেয়ে দৌলতুন্নেসা ম্যান্ডিসহ অসংখ্য ছাত্র, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। ডাঃ এম আর খান বাংলাদেশের শিশু চিকিৎসার পথিকৃৎ। তাঁর জন্ম ১৯২৮ সালের ১ আগস্ট সাতক্ষীরার রসুলপুরে। এম আর খান নামে তিনি পরিচিত হলেও তার পুরো নাম মোঃ রফি খান। বাবা আব্দুল বারী খান ও মা জায়েরা খানমের চার ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন মেজো। তিনি ১৯৫৩ সালে এমবিবিএস পাস করেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে। তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিটিএমএ্যান্ডএইচ, এমআরসিপি, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিসিএইচ, ঢাকার পিজি থেকে এফসিপিএস, ইংল্যান্ড থেকে এফআরসিপি ডিগ্রী লাভ করেন। এম আর খান পেনশনের টাকা দিয়ে গড়েন ডাঃ এম আর খান-আনোয়ারা ট্রাস্ট। দুস্থ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, তাদের আর্থিক-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এ ট্রাস্টের মাধ্যমে তিনি নিরন্তর কাজ করেছেন। তাঁর উদ্যোগে গড়ে উঠেছে জাতীয় পর্যায়ের শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠা করেছেন শিশুস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। গড়ে তুলেছেন সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল, যশোর শিশু হাসপাতাল, সাতক্ষীরা ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার, রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তরা উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতাল, নিবেদিতা নার্সিং হোমসহ বহু প্রতিষ্ঠান। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাময়িকীতে তার ৩৭টি গবেষণাধর্মী রচনা প্রকাশিত হয়েছে। শিশুরোগ চিকিৎসা সংক্রান্ত সাতটি বই লিখেছেন, যেগুলো দেশে ও বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানতুল্য এই মানুষটির জীবনী স্থান পেয়েছে কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল হু ইজ হু অব ইন্টেলেকচুয়ালে। পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, আন্তর্জাতিক ম্যানিলা এ্যাওয়ার্ডসহ অনেক পুরস্কার।
×