ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মিসবাহর উত্তরসূরি বাছাইয়ে বিপাকে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১০ নভেম্বর ২০১৬

মিসবাহর উত্তরসূরি বাছাইয়ে বিপাকে পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মিসবাহ-উল হকের নেতৃত্বে পাকিস্তান টেস্ট দল এখন নিউজিল্যান্ডে। শুক্রবার নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনদিনের প্রস্তুতি, ১৭ নবেম্বর শুরু দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় যাবে পাকিরা। ধারণা করা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি সিরিজ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন ৪২ বছর বয়সী মিসবাহ। তাহলে কে হবেন নতুন টেস্ট অধিনায়ক? এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা গোপন করেননি খোদ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান শাহরিয়ার খান। বর্তমানে মিসবাহর ডেপুটি টি২০ অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু তিনি টেস্টের ভার বইতে সক্ষম কি না সেই প্রশ্ন থাকছেই। কয়েকদিন আগেও ফর্মহীনতায় ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলির চেয়ার নিয়ে টানাটানি তৈরি হয়েছিল। আবার যাকে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যত কা-ারি ভাবা হতো সেই মোহাম্মদ হাফিজের অবস্থা আরও করুণ। অবৈধ বোলিং এ্যাকশন ও ব্যাট হাতে ফর্মহীনতার কারণে তিনিও এখন দলে নেই! শাহরিয়ার বলেন, মিসবাহ না থাকলে পাকিস্তান টেস্ট দলের নেতৃত্বে কাকে আনা হবে সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফর যদি ভালভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে মিসবাহকেই দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। তিনি আরও যোগ করেন, পাকিস্তানের হয়ে ভাল পারফর্ম করছেন মিসবাহ ও ইউনুস খান। যতদিন চাইবে তাদের রেখে দেয়া হবে। তবে এটা ঠিক তারা অবসরের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। সত্যি বললে, এ নিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ছোট্ট ফরমেটে সরফরাজ ও আজহার ভাল করছে। কিন্তু ওরা কেউই টেস্টে মিসবাহর বিকল্প হওয়ার মতো অবস্থায় যেতে পারেনি। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে আলোচিত সেই স্পট ফিক্সিং কলঙ্কে গোটা পাকিস্তান কেঁপে উঠেছিল। সেই দলকে দারুণভাবে সামলেছেন মিসবাহ। গত বিশ্বকাপে ওয়ানডে ছাড়ার পর এখন কেবল টেস্ট খেলছেন। গত মাসেই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে টেস্টের এক নম্বরে তুলে নিয়েছিলেন। মিসবাহর বর্তমান বয়স ঠিক ৪২ বছর ১৬৫ দিন (বুধবার পর্যন্ত)। বাস্তবতার বিচারেই তার বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে। যদিও এখনও ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেই তাকে যতদিন সম্ভব চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ। গত ইংল্যান্ড সফরেই মিসবাহ জানিয়েছিলেন, স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না, সিরিজ বাই সিরিজ ভাববেন। তবে যে কোনা সময় বিদায় বলতে পারেন। তিনিই পাকিস্তানকে সবচেয়ে বেশি টেস্টে (৪৯) নেতৃত্ব দেয়া ও বেশি টেস্ট (২৪) জেতানো অধিনায়ক। হাফিজকে নিয়ে দেশটি যে আসলেই হতাশ শাহরিয়ারের কণ্ঠে সেটি স্পষ্ট। পিসিবি বস বলেন, অবৈধ বোলিং এ্যাকশনের কারণে সে অলরাউন্ড স্ট্যাটাস হারিয়েছে। জাতীয় দলে যদি তাকে নেয়া হয় তাহলে কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলতে পারবে। তবে কার্ডিফের লাফবোরোর পরীক্ষাগারে ফের পরীক্ষা করানোর জন্য অনুরোধ করেছে। যেহেতু তিনি দলের একজন সিনিয়র খেলোয়াড় তাই বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। কিন্তু একবার যদি তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হন তাহলে দল নির্বাচনে দারুণ সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ সে আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনার বড় অংশ।’
×