ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্পীকার শিরীন

উন্নয়ন ধারা অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রকৌশলীদের দক্ষ করে গড়তে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৯ নভেম্বর ২০১৬

উন্নয়ন ধারা অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রকৌশলীদের দক্ষ করে গড়তে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, লক্ষ্যমাত্রা বা সফলতা অর্জন করতে মানবসম্পদকে সম্পদ হিসেবেই রূপান্তর করতে হবে। সরকারের উন্নয়নের অগ্রধারা অক্ষুণœ রাখতে প্রকৌশলীদের আরও দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, তাদের মেধা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) কার্যালয়ে আইডিইবির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবসের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘স্কিল ফর ফিউচার ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা শেষে আইডিইবি ভবন প্রাঙ্গণে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন করেন স্পীকার। আইডিইবি ভবন থেকে যাত্রা শুরু করে র‌্যালিটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখের রাস্তা দিয়ে পল্টন মোড় হয়ে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় আইডিইবি ভবনে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ‘জাতীয় সমৃদ্ধি, দক্ষতাই মূলনীতি’; ‘কর্মীদের দক্ষ কর্মীর হাতে পরিণত করা, অর্থনীতির চাকা সচল কর’; ‘গণপ্রকৌশল দিবসের ডাক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নিপাত যাক’ লেখা ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করেন। অনুষ্ঠানে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আইডিইবির ৪ লাখেরও বেশি সদস্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে আইডিইবির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের কার্যক্রমের সুযোগ থাকতে হবে। এতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা নিজেদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। বর্তমান সরকার তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, প্রকৌশলীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, আইডিইবি তাদের প্রচেষ্টায় সব ধরনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে, এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। আমাদের প্রবৃদ্ধির হার সাত ভাগের ওপরে, রফতানিসহ অর্থনৈতিক সকল সূচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ, ৪ লেন সড়ক নির্মাণ; দেশের সামগ্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মেধা ও কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা অবদান রেখে চলছেন। তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনই নয়, ধনী-দরিদ্র বৈষম্য কমিয়ে অনায়নে বর্তমান সরকার সহায়তা দিচ্ছে। রাজস্ব বাজেট থেকে সামাজিক উন্নয়নে যে ব্যয় হচ্ছে তার মাধ্যমে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ কিভাবে দারিদ্র্য জয় করেছে- তা সারা বিশ্বে নজর কেড়েছে। সারা বিশ্বে তা আজ প্রশংসিত। সরকার নির্ধারিত ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করে স্পীকার বলেন, লক্ষ্যমাত্রা বা সফলতা অর্জনের জন্য মানবসম্পদকে সম্পদ হিসেবেই রূপান্তর করতে হবে। প্রকৌশলীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে নতুনদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। শুধু সুযোগ সৃষ্টি করলেই হবে না; নতুনদের সুযোগ গ্রহণের সক্ষমতাও অর্জন করতে হবে। প্রকৌশল কর্মকা-ে নারীদের আরও বেশি হারে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর দক্ষতা উন্নয়নেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের কাজের সুযোগ দিতে হবে। প্রকৌশলী কর্মকা-ে নারীকে অন্তর্ভুক্ত করতে আইডিইবিকে এগিয়ে আসতে হবে। সংগঠনের সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুর রহমান। তিনি দক্ষ বাংলাদেশ গড়তে ও বিশ্ব ভবিষ্যত কর্মজগতের জন্য যুবসমাজের দক্ষতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৯টি সুপারিশ তুলে ধরেন। শামসুর রহমান বলেন, দেশে বহুমুখী শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে এ কে এম এ হামিদ বলেন, পেশাগত সকল কর্মক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, এমনকি পরিকল্পনা গ্রহণেও আমাদের আরও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।
×