ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চামড়া শিল্পে দক্ষ জনবলের অভাব

প্রকাশিত: ০৪:২০, ৬ নভেম্বর ২০১৬

চামড়া শিল্পে দক্ষ জনবলের অভাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের চামড়া শিল্পে অভাব রয়েছে দক্ষ জনবলের, এমনকি খুব বেশি অগ্রগতি নেই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। আর এসব কারণে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় মানসম্পন্ন চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। রাজধানীতে আয়োজিত লেদারটেক প্রদর্শনীতে এমনই আক্ষেপ জানালেন চামড়াশিল্প উদ্যোক্তারা। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যেসব শিল্পের আকার বৃদ্ধির সঙ্গে প্রতিনিয়তই চাহিদা বাড়ছে, তার মধ্যে অন্যতম চামড়া শিল্প। মাত্র এক দশক আগেও সারাবিশ্বে প্রতিবছর ব্যবহার হতো মাত্র সাড়ে তিন হাজার বিলিয়ন ডলারের চামড়াজাত পণ্য, বর্তমানে তা পৌঁছেছে প্রায় ৪০ হাজার বিলিয়ন ডলারে। আর সে যাত্রায় বাংলাদেশের অবস্থান শক্ত করার লক্ষ্যেই রাজধানীর খিলক্ষেতে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন লেদারটেক প্রদর্শনীর। যেখানে এমন অনেক মেশিনারিজ আনা হয়েছে যা আগে কখনই দেখেনি বাংলাদেশ। বিশ্ববাজারে বর্তমানে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের চামড়াজাত পণ্য রফতানি করছে বাংলাদেশ, ২০১৮ সালেই যা ৫ বিলিয়ন ডলারে নিতে চান শিল্প উদ্যোক্তারা। কিন্তু সে সম্ভাবনা আর বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধান বাড়াচ্ছে অদক্ষ শ্রমিক আর অনুন্নত যন্ত্রপাতির ব্যবহার। যদিও, প্রদর্শনীটি দেশের চামড়া শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই দাবি আয়োজকদের। বিশ্বের ১৫টি দেশের ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে শতাধিক দেশীয় চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করা হচ্ছে সমবায় অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গ্রামীণ উন্নয়নে সমবায়ের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু অসাধু কিছু চক্র একে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আর এতে সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ সমবায়ীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকা এবং মাঠ পর্যায়ে তদারকির অভাবেই সমবায়ে অনিয়ম ঘটছে। অন্যদিকে সরকার বলছে, যে কোন অভিযোগের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। নার্সারি ব্যবসা দিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল কিংশুক সমবায় সমিতির। ১৯৮৭ সালে ৭ জন সদস্য মাত্র ৩০ টাকা নিয়ে যে ব্যবসা শুরু করেছিল, সময়ের পরিক্রমায় আজ তা বেড়ে প্রায় হাজার কোটি টাকা। সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজারের কোঠায়। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর পরিধি, বাড়ছে বিনিয়োগের পরিমাণ। এই সাফল্যের বিপরীত চিত্রও আছে। সমবায় করে প্রতারিত হয়েছেন এমন লোকের সংখ্যাও দেশে কম নয়। রাজধানী মিরপুরের এমদাদুল হক। অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা সদস্য ২০১১ সালে সঞ্চয়ের সবটুকুই তুলে দিয়ে দিয়েছিলেন আইডিয়াল নামের এক সমবায় সমিতিকে। টাকা ফেরত চেয়ে ব্যর্থ হয়ে অধিদফতরে অভিযোগ করেও কোন ফল মেলেনি।
×